২৩ বছরে যে ঘৃণা আস্তে আস্তে জমে উঠেছে তারই চরম পর্যায় হচ্ছে আজকের এই স্বাধীনতা যুদ্ধ। পাকিস্তানী শাসন শোষনের অবসানকল্পেই এই যুদ্ধ। বাংলার মানুষ বাঁচতে চায় অন্যান্য স্বাধীন জাতির মতোই। তারা যেমন করে স্বাধীনতা অর্জন করেছে বাঙালীদেরকেও তাই করতে হচ্ছে। যতো দিন যাচ্ছে, স্বাধীনতাযুদ্ধ তত জোরদার হচ্ছে। পাকিস্তানের পতনও অনুরুপভাবে ঘনিয়ে আসছে। বাংলাদেশ স্বাধীন হলে ‘পাকিস্তান’ থাকবে না। তার রাজনীতিও থাকবে না। সুতরাং এই সব দলের অস্তিত্বও বিলুপ্ত হবে।
এমতাবস্থায় নিজেদের অবস্থান টিকিয়ে রাখতে হলে পাকিস্তানকে অখণ্ড রাখতে হবে, বাঙালীদের স্বাধীনতা সংগ্রামের বিরুদ্ধে লড়তে হবে। অতএব এরা সরকারী বা বিরোধী পক্ষ নয়, এবার সব রকম ক্ষমতার কামড়াকামড়ি ভুলে গিয়ে সবাই এক হয়ে অর্থাৎ সবাই আসল চেহারা নিয়ে সামরিক বাহিনীর সাথে একাত্ম হতে এগিয়ে এসেছি।
এই অন্তর্নিহিত সত্যকে উপলব্ধি করেই আজ নূরুল আমিন, গোলাম আজম, ফজলুল কাদির চৌধুরী, ফরিদ আহমদ শ্রেণীর লোকেরা বাংলার মানুষের বিরুদ্ধে লড়াই করছে। সামরিক বাহিনীর কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে পূর্ব বাংলার সকল অঞ্চলে তাদের এজেণ্টরা চালিয়েছে হত্যা ধর্ষন আর লুটতরাজ। কিন্তু খেলা সামপ্তির শেষ ঘণ্টাধনি তাদের কানে কি পৌছায়নি এখনও।