পাতা:বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্র (ষষ্ঠ খণ্ড).pdf/৮৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

52 বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্রঃ ষষ্ঠ খণ্ড শিরোনাম সংবাদপত্র তারিখ ভিয়েতনাম পদ্ধতিতে গণহত্যার জন্য ইয়াহিয়া জয় বাংলা ২৭ আগষ্ট, ১৯৭১ খান বিশেষ জল্লাদ বাহিনী গড়ে তুলেছে ১ম বর্ষঃ ১৬শ সংখ্যা বিশেষ জল্লাদ বাহিনী গড়ে তুলেছে সভ্য জগৎ থেকে বিচ্ছিন্ন বেলুচিস্তানের কাকুনে বাংলাদেশে হত্যার জন্য বিশেষ জল্লাদ বাহিনী ট্রেনিং লাভ করেছে। এক ডজন আমেরিকান বিশেষজ্ঞ ইয়াহিয়ার স্পেশ্যাল ফোর্স তৈরীর কাজে ট্রেনিং দিচ্ছেন। দক্ষ হত্যাকারী গড়ে তোলার জন্যে এই বিদেশী হত্যা বিশেষজ্ঞদের আমদানী করা হয়েছে উত্তর ক্যারোলিনা থেকে। যুগে যুগে যে সমস্ত জল্লাদ সম্রাট ও রাষ্টনায়ক বিশ্বের বুকে তাণ্ডব সৃষ্টি করেছে, নৃশংষ হত্যার শিকার সাধারণ মানুষের রক্ত দিয়ে বর্বর শাসনের ইমারতে গাথুনী দিয়েছে পিণ্ডির ইয়াহিয়া তাদের সমগ্রোত্রীয়। অতীতের নির্যাতনকারী হত্যার নায়কদের ব্যতিক্রম তিনি নন। ২৫শে মার্চের বহু পূর্বে থেকেই এই মানব সভ্যতা বিরোধী হত্যাবাজ জেনারেল অত্যাধুনিক পদ্ধতিতে গণহত্যার প্রস্ততি নিচ্ছিলেন। ক্রমে ক্রমে রুদ্ধদ্বার ভেদ করে অবিশ্বাস্য হত্যাকাণ্ডের পরিকল্পনার সংবাদ প্রকাশ পাচ্ছে। সব জানোয়ারকে যেমন পোষ মানানো যায় না, তেমনি সব মানুষকে দিয়ে নিরীহ মানুষকে হত্যার জন্যে ঝুঁকি নেয়া সম্ভব নয়। সে জন্যেই রক্ত পিপাসু ও পশু প্রকৃতির সেনাদের বাছাই করে হত্যাকাণ্ডের উদ্দেশ্যে প্রস্তুত করা হয়। বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে এদের বিশেষ ট্রেনিং এর ব্যবস্থা হয়েছিল। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র মুক্তিকামী ভিয়েতনামী নাগরিকদের বেছে বেছে হত্যা ও ধ্বংসের উদ্দেশ্যে যেমন করে গুপ্ত ট্রেনিং প্রাপ্ত একটি বাহিনী প্রেরণ করেছিল। যার নাম সরকারী ভাবে “গ্রীন ব্যারেট” ইয়াহিয়া সরকারও ঠিক তেমনি করে গোপন ট্রেনিং দিয়ে একটি বিশেষ হত্যাকারী বাহিনী গড়ে তুলেছে। ব্যাপক গণহত্যা বেছে বেছে জীবন নাশ, হিটলারের এস এস অফিসারদের পদ্ধতিতে নির্যাতন, ধ্বংস ও অগ্নিকাণ্ড সম্পর্কে এদের বিশেষজ্ঞ করে তোলা হয়েছে। জেনারেলদের ফাইলে একে “বিশেষ বাহিনী” বা স্পেশ্যাল ফোর্স বলে উল্লেখ রয়েছে। বেলুচিস্তানের রাজধানী কোয়েটার কাছাকাছি অঞ্চলে যে স্থানটিতে বৃটিশ আমল থেকেই সামরিক ছাউনী রয়েছে তার নাম কাকুন। সাধারণ প্রশাসনিক কাজে কাকুন স্থানটির নাম উল্লেখ থাকে না। এই বিশেষ ছাউনীতে সভ্য জগৎ থেকে বিচ্ছিন্ন এই নিঃচ্ছিদ্র কাকুনে বাংলাদেশে হত্যার জন্যে বিশেস জল্লাদ বাহিনী ট্রেনিং লাভ করে। বিদেশী তথ্য অনুযায়ী, কাকুনে প্রায় এক ডজন আমেরিকান বিশেষজ্ঞ ইয়াহিয়ার স্পেশ্যাল ফোর্স তৈরীর কাজে ট্রেনিং দিচ্ছেন। দক্ষ হত্যাকারী গড়ে তোলাই এই বিদেশী বিশেষজ্ঞদের কাজ। বেতনভুক্ত এই হত্যা বিশেষজ্ঞদের আমদানী করা হয়েছে উত্তর ক্যারোলিনা থেকে। আইয়ব খাঁর আমলে ১৯৬৪ সাল থেকেই এই ধরণের একটি বিশেষ বাহিনী গঠনের চেষ্টা চলছিল। আর সে সময় জেনারেল মুসা ও বর্তমান জেনারেল ইয়াহিয়া উক্ত বাহিনীর উপর বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করেন। প্রধানত