পাতা:বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্র (ষষ্ঠ খণ্ড).pdf/৯০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

54 বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্রঃ ষষ্ঠ খণ্ড শিরোনাম সংবাদপত্র তারিখ বাংলাদেশের জনগণের ইচ্ছাই রাজনৈতিক জয় বাংলা ২৭ আগষ্ট, ১৯৭১ সমাধানের বাস্তব ভিত্তি ১ম বর্ষঃ ১৬শ সংখ্যা বাংলাদেশ ও বিশ্ববিবেক বাংলাদেশের জনগণের ইচ্ছাই রাজনৈতিক সমাধানের বাস্তব ভিত্তি (রাজনৈতিক ভাষ্যকার) পশ্চিম পাকিস্তানী ঘাকত ইয়াহিয়া ও তার জল্লাদ বাহিনীর বিরুদ্ধে বিশ্ববিবেক জাগ্রত ও সোচ্চার হয়ে করে নিজের ঘাতক বাহিনীর শক্তিকে সংহত করেছে এবং নিঃসন্ধিগ্ধ ও নিরস্ত্র বাঙালী জনতার উপর আধুনিক মারণাস্ত্র নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ার রুপ্রিন্ট প্রস্তত করেছে। তারপর ২৫শে মার্চের রাতে ভুট্টো আর ইয়াহিয়া খান গোপনে পালিয়ে যাবার পর মধ্য রাতে পূর্ণ সামরিক প্রস্তুতি নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েছে নিরস্ত্র ঘুমন্ত নারী, পুরুষ, শিশু, বৃদ্ধ নির্বিশেষে বাঙালী জনসাধারণের ওপর। বাংলাদেশের জাতীয় নেতৃত্ব গণতন্ত্র সম্মত নিয়মতান্ত্রিক পদ্ধতিতে বাঙালীর স্বাধিকার তথা দেশের রাজনৈতিক সমস্যার সমাধান করতে চেয়েছিল। কিন্তু ইয়াহিয়া র ঘাতক বাহিনী সমস্যার রাজনৈতিক সমাধানের পথ পরিত্যাগ করে সামরিক পশু শক্তির আশ্রয় গ্রহণ করেছিল। বিশ্ববিবেক, বিশ্বের গণতন্ত্রকামী মানুষ ইয়াহিয়ার পশুশক্তির বিরুদ্ধে তীব্র ঘৃণা প্রকাশ করেছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ একথা সুস্পষ্টরূপে বুঝতে পারছে, ইসলামাবাদের শাসকচক্রের পক্ষে সামরিক পশুশক্তির সাহয্যে বাংলাদেশ সমস্যার কোন সমাধান সম্ভব নয়। আর সেই জন্যেই জনৈক সাংবাদিক ও সাহিত্যিক সক্ষোভে প্রশ্ন করছেনঃ সাম্রাজ্যবাদকে “মানবতাবোধ সম্পন্ন করতে সমর্থ হবার পূর্বে আরও কত নিখুঁত মানুষকে শান্তিপূর্ণ এবং অহিংসভাবে মৃত্যুবরণ করতে হবে? ‘অহিংস মুতু্য কি সম্ভব? এই ক্ষোভ এক্ষণে সারা পৃথিবীতেই ধ্বনিত হচ্ছে। রাজনৈতিক সমাধান সম্প্রতি বিশ্বের বিভিন্ন রাষ্ট্রের নেতৃবৃন্দ বাংলাদেশ ও পাকিস্তান সমস্যার রাজনৈতিক সমাধানের ওপরে জোর দিচ্ছেন। তাঁরা মনে করছেন যে, অবিলম্বে বাংলাদেশ সমস্যার রাজনৈতিক সমাধান না হলে পরিস্থিতির গুরুতর অবনতি ঘটবে এবং তার প্রতিক্রিয়া পড়বে সারা বিশ্বের ওপরে। এডওয়ার্ড কেনেডির মন্তব্য সম্প্রতি মার্কিন সিনেটের উদ্বাস্তু বিষয়ক সাব-কমিটির প্রেসিডেন্ট সিনেটর এডওয়ার্ড কেনেডি পশ্চিমবঙ্গ ও ত্রিপুরার শরণার্থী শিবির পরিদর্শন করে স্বদেশে ফিরে গিয়েছেন। স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের পূর্বে নয়াদিল্লীতে তিনি মন্তব্য করেন যে প্রকৃত অবস্থা দেখার পর তাঁর ধারণা হয়েছে যে, একমাত্র রাজনৈতিক পথেই বাংলাদেশ