পাতা:বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্র (ষষ্ঠ খণ্ড).pdf/৯৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

60 বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্রঃ ষষ্ঠ খণ্ড একটা কৌশল অবলম্বন করেছে। প্রধানমন্ত্রী আরো বলেছেন, ইয়াহিয়া ঘৃণ্য টিক্কা খার স্থলে একজন অসামরিক সাক্ষী গোপালকে বসিয়েছেন এবং জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন মুষ্টিমেয় হতাশ বাঙালীকে পাকিস্তানের প্রতিনিধি করে জাতিসংঘে পাঠাবার চেষ্টা করছেন এ সবই ওই একই কৌশলের অঙ্গ। অর্থাৎ বাংলাদেশে যে সামরিক আইন, গণহত্যা ও দমননীতি অব্যাহত রয়েছে, এই নগ্নসত্য গোপন করার চেষ্টা। কিন্তু পিণ্ডির খুনী চক্রের এই সত্য গোপন প্রচেষ্টা সফল হয়নি। তাই বাংলাদেশে একজন তাঁবেদার গভর্নর নিয়োগ সম্পর্কে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক পোষ্ট’ পত্রিকা স্পষ্ট ভাষায় বলেছেন “ বাংলাদেশে গভর্নর হওয়ার কোন যোগ্যতা এই লোকটির নেই। বাংলাদেশ সম্পর্কে ব্যবস্থা গ্রহণের একমাত্র অধিকার রয়েছে জনগণের নির্বাচিত নেতা শেখ মুজিবের। নেদারল্যাণ্ডের একজন প্রভাবশালী পার্লামেন্ট সদস্য ডাঃ মালিককে বাংলার দখলীকৃত এলাকার গভর্নর নিয়োগ করা সম্পর্কে বলেছে এটা ঔপনিবেশিক ধরণের নিয়োগ। বস্তুত হবে না। বাংলাদেশের মানুষ আর ইয়াহিয়া চক্রের দাসত্ব স্বীকার করবে না। বরং মুক্তিবাহিনী অস্ত্রের মুখেই ইয়াহিয়ার এই নবনাট্যাভিনয়ে সকল ভাড়ামীর অবসান ঘটাবে।