পাতা:বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্র (সপ্তম খণ্ড).pdf/১৩৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

100 বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্র : সপ্তম খণ্ড ক্ষমতা হস্তান্তর প্রেসিডেন্টের সঙ্গে ৭৫ মিনিট ব্যাপী সাক্ষাৎকারে ক্ষমতা হস্তান্তর, আওয়ামী লীগ পূর্ব পাকিস্তানে উপনির্বাচন এবং পাকিস্তানে বেসামরিক সরকার গঠনের সম্ভাবনা সম্পর্কে প্রশ্ন করা হয়। থাকার কোন ইচ্ছাই আমার নেই। তিনি সেনাবাহিনীতে ফিরে যেতে আগ্রহী। সমগ্র দেশের প্রতিনিধিতুকারী পূর্ণরুপে জাতীয় পরিষদ অনুরোধ করলেই শুধুমাত্র তিনি প্রেসিডেন্টের কার্যভার চালিয়ে যাবেন। আমার ম্যাণ্ডেট স্পষ্ট। তা হচ্ছে দেশকে একত্রিত রাখা এবং বেসামরিক সরকার প্রতিষ্ঠা। তাঁবেদার বেসামরিক সরকার গঠনের জন্য তাঁকে পরামর্শ দেয়া হয়েছে বলে যে, গুজব ছড়িয়েছে তার উল্লেখ করে তিনি বলেন, এটা পুরোপুরি ভুল। সৈনিক হিসাবে তিনি গুজবকে অপরাধ মনে করেন। আমি এইরুপ কৌশল অবলম্বন করি না। পিপলস পার্টিকে নিয়ে সরকার গঠনের সম্ভাবনা সম্পর্কে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, জনাব ভুট্টোর দেশের এক অঞ্চলে সংখ্যাগরিষ্ঠতা আছে। কিন্তু দেশের উভয় অঞ্চলের প্রতিনিধিদের নিয়ে বেসামরিক সরকার গঠিত হওয়া উচিত। যাই হোক, কয়েক মাসের মধ্যেই বেসামরিক সরকার যখন গঠিত হচ্ছে, তখন রাজনৈতিক দলগুলো আরো কিছুদিন অপেক্ষা করতে পারে। আমি সমগ্র জাতির প্রতিনিধিত্বকারী পূর্ণাঙ্গ জাতীয় পরিষদ চাই। এইরুপ একটি পরিষদে গঠিত বেসামরিক সরকার গ্রহণ করতে আমি প্রস্বত্তত আছি। কিন্তু তার পূর্বে কোন ব্যক্তি বা দলের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করব না। উপনির্বাচন আওয়ামী লীগের বিজয় এবং নতুন পরিস্থিতিতে উপনির্বাচন সম্পর্কে প্রেসিডেন্টকে কতিপয় প্রশ্ন করা হয়। প্রেসিডেন্ট আওয়ামী লীগের বিজয়কে ভীতি প্রদর্শন, ত্রাস সৃষ্টি ও দুনীতির ফল বলে আখ্যায়িত করেন। প্রেসিডেন্ট বলেন, সেই সময় তিনি আওয়ামী লীগের তৎপরতা সম্পর্কে তিনি সঠিক খবর পাননি। এখন আমরা বুঝতে পারছি প্রত্যেক আসনে জয়ের জন্য মুজিব কি করেছিল। তার অধিকাংশ লোক বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছে কারণ আওয়ামী লীগকে চ্যালেঞ্জ করতে জনগণ ভীত ছিল।