পাতা:বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্র (সপ্তম খণ্ড).pdf/৪১৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

381 বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্র : সপ্তম খণ্ড শিরোনাম সূত্র তারিখ ১৩৯ পূর্বপাকিস্তানে সামরিক হস্তক্ষেপের পাকিস্তান সরকারের ৫ আগষ্ট, ১৯৭১ পূর্ব পাকিস্তানের সঙ্কট সম্পর্কে শ্বেতপত্র ৫ই আগষ্ট, ১৯৭১ ভমিকা এই শ্বেতপত্র পূর্ব পাকিস্তানের বর্তমান সঙ্কটের ঘটনাবলীর সর্বপ্রথম পূর্ণ বিবরণ। আওয়ামী লীগ নেতাদের মনোভাবের দরুন নির্বাচিত গণপ্রতিনিধিরা একটি ফেডারেল শাসনতন্ত্রের মূল বিষয়সমূহের ব্যাপারে একটা মতৈক্যে পৌছুতে ব্যর্থ হলে এই সস্কটের উদ্ভব হয়। আওয়ামী লীগ নেতারা স্বায়ত্তশাসনের পক্ষে জনগণের রায়কে একটা বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলনে পরিবর্তিত করার প্রয়াস পান। এ-সব ঘটনার প্রতি বহির্বিশ্বের দৃষ্টি আকৃষ্ট হয়েছে। অবশ্য, এ-পর্যন্ত বিশ্বকে অসম্পূর্ণ এবং পক্ষপাতদুষ্ট তথ্যই সরবরাহ করা হয়েছে। এই শ্বেতপত্রে সেইসব ঘটনাবলীর বিস্তারিত পটভূমিকা দেওয়া হয়েছে বা শেষ পর্যন্ত পাকিস্তানকে খণ্ড-বিখণ্ড করার উদ্দেশ্যে একটি সশস্ত্র বিদ্রোহের রুপ নেয়। পূর্ব পাকিস্তান সঙ্কট হৃদয়ঙ্গম করার জন্য অপরিহার্য মূল বিষয়গুলো হচ্ছেঃ (১) ১৯৭০ সালের আইনকাঠামো আদেশের ভিত্তিতেই পাকিস্তানের সাম্প্রতিক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। আওয়ামী লীগসহ সব রাজনৈতিক দলই এই আইন-কাঠামো গ্রহণ করেছিলেন। এই আদেশ থেকে সন্দেহাতীতভাবে বোঝা যায় যে, পাকিস্তানের সংহতি ও অখণ্ডতা হচ্ছে যে কোন ভবিষ্যৎ শাসনতান্ত্রিক ব্যবস্থার মৌলিক পূর্ব-শর্ত। (২) ১৯৭১ সালের ২৫শে মার্চ ফেডারেল সরকার যে ব্যবস্থা শুরু করেন তার লক্ষ্য ছিলো আইনশৃঙ্খলা পুনঃপ্রতিষ্ঠা, কারণ আওয়ামী লীগের অহিংস-অসহযোগ আন্দোলনের সময় আইনশৃংখলার কাঠামো সম্পূর্ণরুপে ভেঙ্গে পড়েছিলো। এই সময়ে যে গোলযোগ এবং নৃশংস কার্যকলাপ চালানো হয় এই শ্বেতপত্রে তা বিবৃত করা হয়েছে। (৩) হিন্দুস্তান হস্তক্ষেপ না করলে এবং প্ররোচনা না যোগালে পরিস্থিতি বেশ শিগগিরই স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে যেতো।