পাতা:বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্র (সপ্তম খণ্ড).pdf/৪৩৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

401 বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্র : সপ্তম খণ্ড (২) খসড়ায় জাতীয় আদমশুমারি অনুষ্ঠানের জন্য কোন প্রতিষ্ঠানের উল্লেখ ছিল না। (“একজন লোক একটি ভোট”- এই নীতি চালু হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে এই জিনিসটির বাদ পড়া তাৎপর্যপূর্ণ)। (৩) দেশের দু'অংশের মধ্যেকার পরিবহন এবং দু'অংশের মধ্যেকার ডাক-সার্ভিস, আন্তর্জাতিক ডাক সার্ভিসের কোন উল্লেখ ছিল না। এসব বিষয়ে আওয়ামী লীগ টীম তাদের মনোভাব পরিবর্তনের অনিচ্ছা প্রকাশ করেন। কর ব্যবস্থা সম্পর্কে আওয়ামী লীগ খসড়ায় কেন্দ্র কর্তৃক কর আদায়ের কোন ব্যবস্থাই ছিল না। এমন কি তাদের নিজের খসড়ায় উল্লেখ করা কেন্দ্রীয় বিষয়সমূহের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট দায়িত্ব পালনের জন্যও কেন্দ্র কর্তৃক কর আদায়ের কোন ব্যবস্থা ছিল না। আওয়ামী লীগ আরো দুটি ধারাও যোগ করেছিলেন। ধারা দুটি হচ্ছেঃ (১) প্রস্তাব করা হয় যে, ১৯৭০-৭১ সালের বার্ষিক উন্নয়ন কার্যক্রমে পূর্ব পাকিস্তানের প্রতি কেন্দ্রের বরাদ্দ এবং প্রদেশের সম্পদের মধ্যে যে ব্যবধান রয়েছে কেন্দ্রকে তা পূরণ করতে হবে। যদিও কেন্দ্র পূর্ব পাকিস্তানে কর আদায় করবেন না। (২) আওয়ামী লীগ টীম আরো বলেন যে, অন্তর্বতীকালীন মেয়াদ যদি ১৯৭১ সালের ৩০শে জুনের মেনে নেয়া হবে না। প্রেসিডেন্টের টীম বলেন যে, স্বীকৃত ফেডারেল পদ্ধতি এই যে, কেন্দ্রের শাসনতান্ত্রিক দায়ত্বসমূহ পালনের জন্য যতটা প্রয়োজন ততটা কর বসানোর ক্ষমতা কেন্দ্রের হাতে থাকা উচিত। আওয়ামী লীগ খসড়ায় আরো বলা হয় যে, পূর্ব পাকিস্তানের জন্য একটি স্বতন্ত্র ষ্টেট ব্যাংক থাকবে এবং তা প্রদেশিক আইন পরিষদের তৈরী আইনের নিয়ন্ত্রণাধীন হবে। ফেডারেল ষ্টেট ব্যাংকর হাতে মাত্র কতকগুলো নির্দিষ্ট কর্তব্য রাখার প্রস্তাব করা হয়। এসব কর্তব্য হচ্ছেঃ (১) টাকার বৈদেশিক বিনিময় হার সুপারিশ করা। (২) পূর্ব পাকিস্তান ষ্টেট ব্যাংকের অনুরোধক্রমে নোট ইসু্য করা। (৩) টাঁকশাল এবং সিকিউরিটি ছাপাখানা সম্পর্কে ব্যবস্থা করা এবং এগুলো নিয়ন্ত্রণ করা। (৪) আন্তর্জাতিক অর্থ সংক্রান্ত প্রতিষ্ঠানসমূহের সঙ্গে সম্পর্কের ক্ষেত্রে ফেডারেল ষ্টেট ব্যাংক সেই সব কর্তব্য পালন করবেন যা সচরাচর করা হয়ে থাকে- এই শর্তে যে, পূর্ব পাকিস্তানের ষ্টেট ব্যাংকের নির্দেশের সঙ্গে সঙ্গতি রেখেই এ সব কর্তব্য পালন করা হবে। (৫) আওয়ামী লীগ খসড়ার অনুচ্ছেদ ১৬ এবং অনুচ্ছেদ ১৭ (১) একত্রে পাঠ করলে বোঝা যাচ্ছে যে তাঁরা ৯ই এপ্রিল নাগাদ অর্থাৎ মাত্র দুসপ্তাহের মধ্যে পূর্ব পাকিস্তান ষ্টেট ব্যাংক স্থাপনের প্রস্তাব করেন। আওয়ামী লীগ এই প্রস্তাবের কোন রকম সংশোধন বিবেচনা করতে রাজি ছিলেন না। আওয়ামী লীগের ঘোষণায় ১৯৬২ সালের শাসনতন্ত্রের ১৪টি অনুচ্ছেদ বাদ দেয়ার প্রস্তাব ছিল। অনুচ্ছেদগুলো হচ্ছে ৯৯, ১০৩, ১০৪, ১০৫, ১০৭, ১০৮, ১১২, ১১৩, ১১৪, ১১৯, ১২০, ১২১, ১২২ এবং ১৩১-এর ২ নম্বর ধারা। এতে ১৯৬২ সালের শাসনতন্ত্রের অনুচ্ছেদ নম্বর ৬৭, ৬৮, ৭০, ৮০, ৮১, ৮২, ৮৪,