পাতা:বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্র (সপ্তম খণ্ড).pdf/৪৩৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

402 বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্র : সপ্তম খণ্ড 8のこ ৮৬ এবং ২৯২ সংশোধন করা হয় এবং ফেডারেল সরকারের ক্ষমতা আরো দুর্বল উদ্দেশ্যে ৯০-ক থেকে ৯০-চ পর্যন্ত নতুন কতকগুলো অনুচ্ছেদ যোগ করা হয়। ১৩১ নম্বর অনুচ্ছেদের ২ নম্বর ধারাটির বিশেষ গুরুত্ব ছিল। এতে এই ব্যবস্থা ছিল যে কেন্দ্রীয় আইন পরিষদ কতকগুলো বিশেষ ক্ষেত্রে প্রাদেশিক বিষয়েও আইন পাস করতে পারবেন। এসব ক্ষেত্র হচ্ছেঃ (ক) যখন পাকিস্তানের অর্থনৈতিক ও আর্থিক স্থিতিশীলতাসহ পাকিস্তানের নিরাপত্তা বিপন্ন হয়ে পড়ে। (খ) পরিকল্পনা ও সমন্বয় সাধনের প্রয়োজন। (গ) যে কোন ব্যাপারে পাকিস্তানের বিভিন্ন অংশের মধ্যে সমতা অর্জনের প্রয়োজন। এমন কি উপরোক্ত “ক” ক্ষেত্রের বেলায়ও তাদের মত পরিবর্তন করতে আওয়ামী লীগ সুস্পষ্ট অস্বীকৃতি জানান। প্রেসিডেন্টের টীম উল্লেখ করেন যে ঘোষণার উদ্দেশ্য ছিল একটি অন্তর্বতীকালীন শাসনতন্ত্র হিসেবে কাজ করা। আওয়ামী লীগের সব দাবীই এতে মেনে নেয়া হয়নি। এর উপর জনাব তাজুদ্দীন আহমদ বলেন, সময় চলে যাচ্ছে, তাই ৪৮ ঘন্টার মধ্যে ঘোষণা প্রকাশ করতে হবে। তিনি আরো বলেন, এই সময়ের শেষে ঘোষণা প্রকাশ করা হলে তা হবে অতি বিলম্বিত। তাঁকে জানানো হয় যে, আওয়ামী লীগের প্রস্তাবসমূহের ব্যাপারে অন্যান্য ফেডারেটিং ইউনিটের বিভিন্ন পার্লামেন্টারী দলের সঙ্গে পরামর্শ হওয়া উচিত। বস্তুতঃ প্রেসিডেন্ট ১৯৭১ সালেল ২০শে মার্চ আওয়ামী লীগ নেতাদের বলেন যে, সব রাজনৈতিক নেতার মতৈক্য অত্যাবশ্যক। একই দিনে খান আবদুল কাইয়ুম খান প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। সন্ধ্যায় জনাব মমতাজ মুহম্মদ খান দৌলতানা, জনাব সরদার শওকত হায়াৎ, জনাব মুফতি মাহমুদ, খান আবদুল ওয়ালী খান এবং শাহ আহমদ নূরানীও প্রেসিডেন্টের সঙ্গে দেখা করেন। তাঁরা শেখ মুজিবুর রহমানকে যুক্তিতে আনার ব্যাপারে তাঁদের ব্যর্থতার কথা প্রেসিডেন্টকে অবহিত করেন এবং বলেন যে, তিনি (শেখ মুজিব) আওয়ামী লীগের স্বীমের কোন পরিবর্তন মেনে নিতে পারবেন না। এর আগে সকালের দিকে শেখ মুজিবুর রহমান সশস্ত্র স্বেচ্ছাসেবকদের মার্চপাষ্টে বাংলাদেশের পতাকা উড়ান এবং বলেন, “আমাদের সংগ্রাম মুক্তি ও স্বাধীনতার সংগ্রাম।” ২৪শে মার্চ, ১৯৭১ জনাব জুলফিকার আলী ভুট্টো ঘোষণার যথার্থতা এবং বৈধতার ব্যাপারে আলোচনার জন্যে আবার প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। এই ঘোষণার মাধ্যমে সামরিক আইন প্রত্যাহার এবং জেনারেল ইয়াহিয়া খান কর্তৃক প্রেসিডেন্টের ক্ষমতা ও কর্তব্য গ্রহণ করার কথা ছিল। আওয়ামী লীগের সহকারীরা সন্ধ্যা ছটায় প্রেসিডেন্টের টমের সঙ্গে আবার বৈঠকে মিলিত হন। এই বৈঠকের পর জনাব তাজুদ্দীন আহমদ সাংবাদিকদের কাছে এক বিবৃতিতে বলেন, “বৈঠকে আমাদের যা বক্তব্য তা আমরা সবই বলেছি।” তিনি আরো বলেন, “আমাদের দিক থেকে আর কোন বৈঠকের প্রয়োজন নেই।” (দি পিপল’ ঢাকা ২৫শে মার্চ, ১৯৭১)। ২৫শে মার্চ, ১৯৭১ আওয়ামী লীগ প্রকাশ্যভাবে জানিয়ে দিলেন যে, তাঁরা আর বৈঠক অনুষ্ঠানের ব্যাপারে আগ্রহী নন। তাঁরা যে খসড়া ঘোষণা পেশ করেন তাতে পরিষ্কার বোঝা যায় যে, শেখ মুজিবুর রহমান কেন্দ্র কিংবা পাকিস্তান