পাতা:বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্র (সপ্তম খণ্ড).pdf/৪৬৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

430 বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্র : সপ্তম খণ্ড খরচের হিসেবপত্রের পর যে অর্থ অবশিষ্ট থাকবে বাংলাদেশ সরকার তা কেন্দ্রীয় সরকারকে ফেরৎ দেবেন। এধরনের হিসেবে বাংলাদেশ সরকার যদি কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে অর্থ পাওনা হয় তবে কেন্দ্রীয় সরকার সে পরিমাণ অর্থ বাংলাদেশ সরকারকে ফেরৎ দেবেন। (২) বাংলাদেশ রাজ্যের সব বৈদেশিক মুদ্রা আর বাংলাদেশ রিজার্ভ ব্যাংকের নিয়ন্ত্রনে একটি পৃথক একাউন্টে থাকবে এবং রিজার্ভ ব্যাংক তা বিতরণ করবে। (৩) প্রেসিডেন্ট বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে আলাপ -আলোচনার পর ব্যবস্থা তৈরী করবেন যার ভিত্তিতে বাংলাদেশ সরকার ১৯৭০-৭১ অর্থ বছরের অবশিষ্ট সময়ের জন্যে কেন্দ্রীয় বাজেটের বৈদেশিক মুদ্রা চাহিদায় অর্থ দেবেন। ১৫। (১) ঢাকার ষ্টেট ব্যাংক অব পাকিস্তানের নাম পরিবর্তন করে রিজার্ভ ব্যাংক অব বাংলাদেশ রাখা হবে এবং বাংলদেশ ষ্টেট ব্যাংক অব পাকিস্তানের সব শাখা হবে রিজার্ভ ব্যাংক অব বাংলাদেশের শাখা । (২) রিজার্ভ ব্যাংক অব বাংলাদেশ এবং এর শাখাসমুহ বাংলাদেশ আইন পরিষদের আইনগত নিয়ন্ত্রণে থাকবে । (৩) বাংলাদেশ রিজার্ভ ব্যাংক ধারা (৪) এ বর্ণিত ক্ষমতাসাপেক্ষে বাংলাদেশ রাজ্যের ব্যাপারে এমন সব ক্ষমতা, কাজ ও কর্তব্য প্রয়োগ করবেন যেগুলো প্রারম্ভিক দিনের অব্যবহিত আগে ষ্টেট ব্যাংক অব পাকিস্তান সমগ্র পাকিস্তানের বেলায় প্রয়োগ করতেন । ষ্টেট ব্যাংক অব পাকিস্তান ধারা (৪) এ’ বর্ণিত ক্ষমতা প্রয়োগ করতে থাকবেন । (৪) বাংলাদেশ রাজ্যের বেলায় ষ্টেট ব্যাংক নিম্নলিখিত ক্ষমতাগুলো প্রয়োগ করবেন (ক) কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে টাকার বৈদেশিক বিনিময় হার সুপারিশ করবেন। (খ) বাংলাদেশের অভ্যন্তরে চালু করার জন্যে রিজার্ভ ব্যাংক অব বাংলাদেশের অনুরোধে রিজার্ভ ব্যাংকের দেয়া সম্পদের বিনিময়ে নোট ও মুদ্রা ইসু্য করা: (গ) টাকশাল ও সিকিউরিটি প্রেসের রক্ষণাবেক্ষন ও নিয়ন্ত্রনঃ (ঘ) আন্তর্জাতিক অর্থ সংক্রান্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর সম্পর্কে এমন সব কাজ করা যা স্বাভাবিকভাবে ষ্টেট ব্যাংক অব পাকিস্তান করে থাকেন। তবে এ ধরনের কাজ বাংলাদেশর রিজার্ভ ব্যাংকের নির্দেশ অনুযায়ী হতে হবে । ১৬। (১) ১৯৭১ সালের ৯ই এপ্রিল (ক) বাংলাদেশ রাজ্য থেকে নির্বাচিত জাতীয় পরিষদ সদস্যরা বিকেল ৪টায় ঢাকায় পরিষদ ভবনে এক আইন সম্মেলনে বসবেন এবং সম্মেলনে বসার দিন থেকে ৪৫ দিনের মধ্য বাংলাদেশ রাজ্যের জন্যে একটা শাসনতন্ত্র তৈরীর জন্যে কাজ চালিয়ে যাবেন: (খ) পশ্চিম পাকিস্তানের রাজ্যগুলো থেকে নির্বচিত জাতীয় পরিষদ সদস্যরা ১৯৭১ সালের ৯ই এপ্রিল বিকেল ৪টায় ইসলামাবাদে ষ্টেট ব্যাংক ভবনে একটি আইন সম্মেলনে বসবেন এবং বসার দিন থেকে ৪৫ দিনের মধ্যে পশ্চিম পাকিস্তানের রাজ্যগুলোর জন্যে একটি শাসনতন্ত্র তৈরীর কাজ চালিয়ে যাবেন । (২) প্রত্যেক আইন সম্মেলন একজন চেয়ারম্যান নির্বাচিত করবেন। তিনি বৈঠকের তারিখ ও সময় এবং সম্মেলনের অধিবেশন পরিচালনার পদ্ধতি সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নেবেন । তবে চেয়ারম্যানের নির্বাচনসহ অন্য সব সিদ্ধান্ত সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটের দ্বারা নেয়া হবে ।