পাতা:বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্র (সপ্তম খণ্ড).pdf/৪৭২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

438 বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্র : সপ্তম খণ্ড পরিশিষ্ট-“ছ” প্রধান প্রধান নৃশংসতার তালিকা (১৯৭১ সালের ২৫শে মার্চের আগে সস্ত্রাস ও অরাজকতার তালিকা তৃতীয় পরিচ্ছেদে “পূর্ব জেলা তারিখ ও এলাকা ঘটনা চট্টগ্রাম ১৬-৩০শে মার্চ, ১৯৭১ শহরটি, ইষ্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট (ইবিআর) ইষ্ট চট্টগ্রাম শহর পাকিস্তান রাইফেলস (ইপিআর)এবং আওয়ামী লীগ (এএল) স্বেচ্ছাসেবকদের মতো বিদ্রোহীদের কবলে ছিলো । এই বিদ্রোহীরা শহরে প্রধান অংশের মধ্যে অবস্থিত এবং পার্শ্ববর্তী এলাকার পুরো কলোনীতে লুটতরাজ, হত্যাকাণ্ড ও অগ্নিসংযোগ করে । মানুষ হত্যার ‘কসাইখানা’ স্থাপন করা হয়। এরকম একটা কসাইখানা চট্টগ্রামের আওয়ামী লীগের দফতরেও ছিলো । এই কসাইখানায় পুরুষ,নারী ও শিশুকে নির্বিশেষে হত্যা করা হয় । অনেক ক্ষেত্রেই দেহ থেকে অঙ্গ কেটে ফেলার আগে সিরিঞ্জ দিয়ে রক্ত বের করে নেওয়া হয়েছিল । (১০ হাজার লোক নিহত হয় ।) ২৭শে মার্চ, ১৯৭১ ওসমানিয়া পশ্চিম পাকিস্তানী কর্মচারীদের নির্যাতন ও হত্যা গ্লাস ওয়ার্কস। ১৫ই মার্চ ১৯৭১, করা হয় (১৭ জনের মৃত্যু হয় )। ম্যানেজিং পার্টনার আমিন জুট মিলস, বিবির হাট এবং ম্যানেজারকে অপহরণ করা হয়। তাদের হত্যা করা হয়েছে বলে বিশ্বাস । অন্যান্য কিছুসংখ্যক কর্মীদের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। অনুমান করা হয় যে তাদের জামিন’ স্বরুপ আটক রাখা হয়েছে। (হতাহতের সংখ্যা জানা যায়নি)। ১৯শে এপ্রিল, ১৯৭১, নারী ও শিশুদের নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। পশ্চিম ইস্পাহানী জুট মিলস এবং পাকিস্তানী অনেক অফিসার এবং শ্রমিকদের খোঁজ তার পার্শ্ববর্তী এলাকা । পাওয়া যায় না। অনেককে অপহরণ করা হয়েছে। (হতাহতের সংখ্যা প্রায় এক হাজার)। ২৭-২৮শে এপ্রিল, ১৯৭১ মিল-ভবন আক্রমণ করে কিছু সংখ্যক কর্মচারীকে হাফিজ জুট মিলস । হত্যা করা হয়। মালিকের গৃহে আগুন ধরিয়ে দেয়া হয় । কয়েকজন অপ্রাপ্ত বয়স্ক শিশু যারা প্ৰাণ ভয়ে সবাইকে জীবন্ত পুড়িয়ে মারা হয়েছিল। (হতাহতের সংখ্যা ছিলো প্রায় ১৫০ জন)