পাতা:বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্র (সপ্তম খণ্ড).pdf/৪৭৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

441 বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্র : সপ্তম খণ্ড _জেলা_ তারিখ ও এলাকা ঘটনা ৩০শে এপ্রিল, ১৯৭১, পশ্চিম পাকিস্তানী মহকুমা হাকিমকে আটক করে বন্দী অবস্থায় সাতক্ষীরা, মহকুমা, খুলনা। রাখা হয়। শহরের এলাকা জুড়ে ব্যাপক গণহত্যা, নৃশংসতা ও ব্যাপক লুটতরাজ চলতে থাকে (প্রায় ১ হাজার লোক নিহত হয়) কুষ্টিয়া ২৯ শে মার্চ-১০ই এপ্রিল ইষ্ট পাকিস্তান রাইফেলস-বিদ্রোহী, মুজাহিদ এবং স্থানীয় ১৯৭১, কুষ্টিয়া শহর। দুষ্কৃতকারীরা বিহার এবং পশ্চিম পাকিস্তানী সেনাদের উপর যথেচ্ছা গুলী চালাতে শুরু করে । ক্রমাগত ১৩ দিন ধরে সন্ত্রাসের রাজত্ব চলতে থাকে। ( ১ হাজার থেকে দেড় হাজার লোক নিহত হয় । ) ২৬ শে মার্চ-১লা এপ্রিল ১৯৭১, বিহারী ও পশ্চিম পাকিস্তানীদের একত্রিত করে হত্যা করা হয়। চুয়াডাঙ্গা, কুষ্টিয়া। মেয়েদের সঙ্গে অমানুষিক ব্যবহার করা হয়। পশ্চিম পাকিস্তানী মহকুমা হাকমের উপর নির্মম অত্যাচার করা হয় তাঁর সন্তানসম্ভবা স্ত্রীকেও মারধর করা হয়েছিলো।(৫শ লোক নিহত এবং ১শ লোক নিখোঁজ হয়।) ২৩ শে এপ্রিল, ১৯৭১, বিদ্রোহী ইষ্ট পাকিস্তান রাইফেলস ও স্থানীয় দুষ্কৃতকারীরা জাফরকান্দি, কুষ্টিয়া। বিহারী কলোনীর উপর হামলা চালায়। ব্যাপকহারে ধনসম্পত্তি লুট করার পর তারা কলোনীতে আগুন ধরিয়ে দেয়। কেই বাঁচতে পারেনি। মেয়েদের ধর্ষণ করার পর হত্যা করা হয়। তাদের মৃতদেহ, স্তন কাটা এবং পেট কাটা অবস্থায় পাওয়া যায়। (প্রায় ৫শ লোক নিহত হয়)। ৩০শে মার্চ-১৩ই এপ্রিল, প্রায় দুসপ্তাহ যাবৎ মেহেরপুরে বেপরোয়া হত্যা, অগ্নিসংযোগ ১৯৭১, মেহেরপুর, কুষ্টিয়া। এবং ধর্ষণের কবলে ছিল । (৪শ থেকে ৬শ লোক নিহত ও ২শ লোক নিখোঁজ হয়। হাসপাতালে যায় ১০ জন। বগুড়া ২৬শে মার্চ-২৩শে এপ্রিল, আওয়ামী লীগ স্বেচ্ছাসেবকরা জেল ভেঙ্গে কয়েদীদের ১৯৭১, বগুড়া শহর। হিংসাত্মক কার্যকলাপ ও লুটতরাজ করার জন্য ছেড়ে দেয়। ৭ হাজর পুরুষ, নারী ও শিশুদের জেল ভবনের মধ্যে ঠাসাঠাসি দেবার পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু সেনাবাহিনী সময়মত এসে পৌঁছে তাদের উদ্ধার করে। প্রত্যক্ষদশীরা গণহত্যা, ধর্ষণ ও অগ্নিসংযোগের কাহিনী বর্ণনা করে। প্রকাশ যে, প্রায় ২ হাজার লোক নিহত হয়। ২৬শে মার্চ-২২শে এপ্রিল, বিহারীদের চলাফেরা বন্ধ করার জন্য আওয়ামী লীগ ১৯৭১, নওগাঁ, সান্তাহার। দুস্কৃতিকারীরা রাস্তা বন্ধ করে দিলো। ব্যাংকগুলো লুষ্ঠিত