পাতা:বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্র (সপ্তম খণ্ড).pdf/৪৭৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জেলা পাবনা রংপুর দিনাজপুর 442 বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্র : সপ্তম খণ্ড তারিখ ও এলাকা ২৩ মার্চ-১০ই এপ্রিল, ১৯৭১, পাবনা শহর। ২৩শে মার্চ-১০ই এপ্রিল,১৯৭১ সিরাজগঞ্জ। ১০ই এপ্রিল, ১৯৭১ পাকশী । ২৩-৩১শে মার্চ, ১৯৭১, সৈয়দপুর (রংপুর)। ২৩শে মার্চ-১লা এপ্রিল, ১৯৭১, ने লফ মার | ২৮শে মার্চ-১লা এপ্রিল, ১৯৭১, দিনাজপুর শহর। ঘটনা হলো । মেয়েরা ধর্ষিত হলো । তাদের গুলী করে হত্যা হয়েছিলো। সারা শহরে মৃতদেহের ছড়াছড়ি দেখা যায়। অনেককে জীবন্ত পুড়িয়ে মারা হয়। কাউকে বা পেরেকে গেথে গুলী করে হত্যা করা হয় । আহত যে, মেয়েদের নিজের সন্তানের রক্ত পান করতে বাধ্য করা হয়েছিলো। বিহারীরা একেবারে প্রায় নিশ্চিহৃ হয়ে যায়। (প্রায় ১৫ হাজার লোক নিহত হয়)। দু'সপ্তাহব্যাপী আওয়ামীলীগের সন্ত্রাসের রাজত্ব থেকে শহরকে রক্ষা করলো সেনাবাহিনী এসে । (প্রায় ২শ লোক নিহত হয়)। দুষ্কৃতকারীরা ৩৫০ জন পুরুষ, নারী ও শিশুকে দালানে ঢুকিয়ে তাতে আগুন ধরিয়ে দিলো। (ভেতরে যারা ছিলো তাদের সকলকেই এভাবে ফাঁদে ফেলে হত্যা করা হয়) রেলওয়ে কলোনীর অধিবাসীদের শান্তি কমিটি গঠন করার অজুহাত দেখিয়ে প্রতারিত করা হয়। তাদের একটা হাইস্কুল ভবনে আটকে রেখে জীবিত অবস্থায় পুড়িয়ে মারা হয়েছিল । (প্রায় ২ হাজার লোক নিহত হয়।) শত শত বাড়ীঘর ও তার অধিবাসীদের জুলিয়ে দেওয়া হয়। (১শ’রও বেশী লোক নিহত হয়।) ৫ হাজার উদ্বাস্তুর মধ্যে অর্ধেকেরও বেশী লোককে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। (প্রায় ২ হাজার ৭ শত লোক নিহত হয়।) নির্যাতন শুরু হয়ে যায়। আর তার পরেই বেপরোয়া হত্যাকাণ্ড চলতে থাকে। পুরুষ, মেয়ে ও শিশুদের হত্যা করা হয়। যে দু-চারজন এখানে সেখানে জীবিত ছিলো তারা প্রধানতঃ ছিলো বৃদ্ধা, স্ত্রীলোক ও শিশু। নিহতদের মাতা কেটে নিয়ে গাছের আগায় ঝোলানো হয়। প্রায় ৪শ মেয়েকে অপহরণ করে নিয়ে যাওয়া হয় হিন্দুস্তানে। (প্রায় ৫ হাজার লোক নিহত হয়।)