পাতা:বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্র (সপ্তম খণ্ড).pdf/৫০৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

470 বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্র : সপ্তম খণ্ড শিরোনাম সূত্র তারিখ ১৫৩ সাংবাদিক সাক্ষাৎকার পূর্বদেশ ১৬ মে, ১৯৭১ লেঃ জেঃ টিক্কা খান সাংবাদিক সাক্ষাৎকারে গভর্নর লেঃ জেনারেল টিক্কা খানঃ সশস্ত্র প্রতিরোধ নিশ্চিহৃ করা হয়েছে ঢাকা, ১৫ই মে (এপিপি)। পূর্ব পাকিস্তানের গভর্নর ও প্রাদেশিক সামরিক আইন প্রশাসক লেঃ জেঃ টিক্কা খান বলেন যে, সারা প্রদেশ থেকে সুগঠিত সমস্ত প্রতিরোধ নিশ্চিহৃ করা হয়েছে। তবে প্রদেশের অভ্যন্তরভাগে কোথাও কোথাও লুট, সন্ত্রাস, কিংবা নিরীহ জনগণকে হয়রানি ধরনের কিছু কিছু বিক্ষিপ্ত দুষ্কর্ম চলছে বলে তিনি জানান। গভর্নর গতকাল এক ঘরোয়া পরিবেশে দুজন বিশেষ সংবাদদাতার সাথে আলাপ করছিলেন । পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে এসে এক সময় পূর্ব পাকিস্তান সফরের পর বিশেষ সংবাদাতা দুজন গতকাল গভর্নর হাউসে গভর্নরের সাথে দেখা করেন। গভর্নর টিক্কা খান সাংবাদিকদের সাথে ৪৫ মিনিটকাল আলোচনার সময় প্রদেশের সার্বিক পরিস্থিতি সম্পর্কে জানান । এ প্রসঙ্গে তিনি ভারতীয় .....পূর্ণ প্রশাসনিক কর্তৃত্ব স্থাপন এবং অর্থনৈতিক জীবনধারার পুনজীবন বিষয়গুলো বিশেষভাবে জানান । অনুপ্রবেশকারীরা সুবিধা করতে পারবে না এক প্রশ্নের জবাবে গভর্নর বলেন যে, দুষ্কৃতকারীদের কার্যকলাপ সেনাবাহিনীর লোকেরা বন্ধ করে দিচ্ছেন এবং তাদের নির্মুল করতে বেশীদিন লাগবে না । অনুপ্রবেশকারীদের সম্পর্কে জেনারেল টিক্কা খান বলেন যে, কোন কোন এলাকায় ভারতীয় অনুপ্রবেশকারীরা ধ্বংসাত্মক কাজে লিপ্ত হওয়ার চেষ্টা করে । কিন্তু সে চেষ্টায় তারা সুবিধা করতে পারেনি। জনশক্তির সদ্ব্যবহারের জন্য স্কীম গভর্নর টিক্কা খান বলেন যে, প্রাপ্ত প্রশাসনিক জনশক্তির পূর্ণ সদ্ব্যবহার করার জন্য তিনি একটি স্কীম তৈরি করছেন। এর জন্য জেলা পর্যায়েও পূর্ণভাবে সাহায্য করা সম্ভব হবে । তিনি আরো বলেন যে, প্রশাসন ব্যবস্থা পূর্নভাবে চালু করার জন্য পর্যাপ্ত ব্যবস্থা গ্রহীত হয়েছে। আসন্ন দুর্ভিক্ষের সংবাদ ডাহা মিথ্যা পূর্ব পাকিস্তানে দুর্ভিক্ষ আসন্ন বলে বিদেশী সংবাদপত্রগুলো যে সংবাদ প্রচার করেছে তা ডাহা মিথ্যা বলে জেঃ টিক্কা খান জোর দিয়ে বলেন । খাদ্যশস্যের ব্যাপারে বলতে পারি এখানে এখনো তার অভাব দেখা দেয়নি। সরকারের কাছে যথেষ্ট পরিমাণ খাদ্যশস্য মওজুদ রয়েছে। কোন কোন এলাকায় যোগযোগ ব্যবস্থা নষ্ট হয়ে যাওয়ার খাদ্যশস্য পরিবহণে কিছু অসুবিধা দেখা দিয়েছে। যেমন, ভারতীয় অনুপ্রবেশকারীরা ঢাকা ও চট্টগ্রামের মধ্যে কয়েকটি রেলব্রিজ নষ্ট করে দিয়েছে। দ্রুত এগুলোর সংস্কার চলছে বলে তিনি জানান।