পাতা:বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্র (সপ্তম খণ্ড).pdf/৫৭৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

540 বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্র : সপ্তম খণ্ড শিরোনাম সূত্র তারিখ ১৮৯। প্রাদেশিক মন্ত্রীসভার পাক সমাচার ২৪ ১৭ সেপ্টেম্বর, ১৯৭১ শপথ গ্রহণ সেপ্টেম্বর প্রাদেশিক মন্ত্রী সভার শপথ গ্রহণ গত ১৭ই সেপ্টেম্বর অপরাহ্নে পূর্ব পাকিস্তানের গভর্নরের ১০ সদস্য বিশিষ্ট মন্ত্রী পরিষদের ৯ জন সদস্য শপথ গ্রহণ করেন। ঐদিনে বিকেল চারটায় গভর্নর ভবনে এক অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানে প্রাদেশিক গভর্নর ডাঃ এ এম মালিক মন্ত্রীসভার সদস্যদের শপথ গ্রহণ করান। যে ৯ জন ঐদিন মন্ত্রী হলেন, তারা ইতিপূর্বে কখনও মন্ত্রিত্ব করেননি। তবে এদের কেউ কেউ জাতীয় পরিষদের সদস্য ছিলেন। যারা মন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন তারা হলেন, রংপুরের জনাব আবুল কাশেম, বগুড়ার জনাব আব্বাস আলী খান, বরিশালের আখতার উদ্দিন আহমদ, ঢাকার জনাব এ এস এম সোলায়মান, খুলনার মওলানা এ কে এম ইউসুফ, পাবনার মওলানা মোহাম্মাদ ইসহাক, কুষ্টিয়ার জনাব নওয়াজেস আহমদ, নোয়াখালীর জনাব ওবায়দুল্লাহ মজুমদার ও চট্টগ্রামের অধ্যাপক শামসুল হক। মন্ত্রীদের মধ্যে জনাব আবুল কাশেম,আব্বাস আলী খান, জনাব আখতার উদ্দিন, মওলানা এ কে এম ইউসুফ ও জনাব এ এস এম সোলায়মান ইতিপূর্বে জাতীয় পরিষদের সদস্য ছিলেন। এই মন্ত্রীদের মধ্যে নোয়াখালীর জনাব ওবায়দুল্লাহ মজুমদার ও চট্টগ্রামের অধ্যাপক শামসুল হক অধুনালুপ্ত আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী হিসেবে যথাক্রমে এম এম এ ও এমপিএ নির্বাচিত হন। ডাঃ মালিকের মন্ত্রীসভায় কাউন্সিল মুসলিম লীগের ২ জন (দলের সাধারণ সম্পাদক জনাব আবুল কাশেম ও বহু পুরাতন কর্মী এডভোকেট নওয়াজেশ আহমদ), জামাতে ইসলামের ২ জন (জনাব আব্বাস আলী খান ও মওলানা এ কে এম ইউসুফ), অধুনালুপ্ত আওয়ামী লীগের ২ জন (জনাব ওবায়দুল্লাহ মজুমদার ও জনাব শামসুল হক) কে এস পির একজন (জনাব এ এস এম সোলায়মান), নেজামে ইসলামের একজন (মওলানা মোহাম্মদ ইসহাক), কনভেনশন মুসলিম লীগের একজন (জনাব আখতারুদ্দিন আহমদ) এবং একজন সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি মিঃ আউংশুপ্রী। প্রদেশের মনোনীত সংখ্যালঘু মন্ত্রী মিঃ আউংশুপ্র শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত হতে পারেননি। তিনি চট্টগ্রাম থেকে ঢাকা আসার জন্য নির্দিষ্ট বিমানে আরোহন করতে পারেননি। শপথ গ্রহন অনুষ্ঠানের পর গভর্নর ডাঃ মালিক সাংবাদিকদের সঙ্গে ঘরোয়া আলোচনা প্রসঙ্গে বলেন যে, তাঁর মন্ত্রীরা সবাই সাধারণ মানুষের প্রতিনিধি। শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে পূর্ব পাকিস্তানের সামরিক শাসনকর্তা লেঃ জেনারেল এ এ কে নিয়াজী ঢাকা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি জনাব বি এ সিদ্দিকী, হাইকোর্টের বিচারপতিবৃন্দ উচ্চপদস্থ সামরিক ও বেসামরিক অফিসারগণ উপস্থিত ছিলেন।