পাতা:বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্র (সপ্তম খণ্ড).pdf/৬৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

31 বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্র : সপ্তম খণ্ড অনুরুপভাবে তথাকথিত অস্থায়ী সরকারের প্রতিনিধিদের সাথে আলোচনার খবর ভারতীয় সংবাদপত্র ও বেতারে প্রচার করা হয়েছে। ভারতীয় হাই কমিশনারকে এ সব কথাও বলা হয়েছে। ওষুধ এবং সাহায্য সামগ্রীর নামে সীমান্তের ওপার থেকে বাংলাদেশের লোকের জন্য অস্ত্রশস্ত্র এবং গোলাবারুদ পাঠানো হচ্ছে। এপিপির কূটনৈতিক সংবাদদাতা এ খবর জানিয়েছে। তিনি লিখেছেন, ভারতীয় অস্ত্রসস্ত্র চালান এবং লোক পাঠানোর কাজটি ভারতীয় কর্তৃপক্ষের যোগসাজশেই করা হচ্ছে। এর জন্য পাকভারত সীমান্তে এগারোটি প্রবেশ ঘাঁটি খোলা হয়েছে। গত ৫ই এপ্রিল ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের চীফ সেক্রেটারীর কথাতেই এর স্বীকৃতি মিলেছে। তিনি সাংবাদিকদের বলেছেন, পূর্ব পাকিস্তান থেকে আগত মোহাজেরদের অভ্যর্থনার সুবিধার্থে ১১টি প্রবেশ পথ খোলা হয়েছে। এছাড়া ৯টি শিবির খোলা প্রকৃত পক্ষে পূর্ব পাকিস্তানে অনুপ্রবেশের উদ্দেশ্যে উল্টো দিকে চলাচলের জন্য এসব ঘাঁটি স্থাপন করা হয়েছে। এদিকে অনিবার্যভাবেই ভারত সরকারের দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়ে ভারতীয় সংবাদপত্রগুলোতে বর্ষার আগে পূর্ব পাকিস্তানের তথাকথিত মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য অস্ত্রশস্ত্র ও গোলাবারুদ সরবরাহের জন্য ওকালতি করা হচ্ছে। এখানে প্রাপ্ত খবরে প্রকাশ, বাংলাদেশের জনগণের জন্য তহবিল ও সাহায্য সামগ্রী সংগ্রহের জন্য দিল্লী, কলকাতা, শিলং এ সংস্থা গঠন করা হয়েছে। গত সোমবার ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীকে প্রশ্ন করা হয়েছে, বাংলাদেশের জনগণকে সাহায্য করার কোন ব্যবস্থা আছে কিনা,- এই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিধায় তিনি প্রকাশ্যে কিছুই বলতে পারেন না। অবশ্য তহবিল সংগ্রহের উদ্যোগ সমর্থন করেছেন- কেননা এগুলো