পাতা:বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্র (সপ্তম খণ্ড).pdf/৬৬৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

634 বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্র : সপ্তম খণ্ড জাতীয় সরকার গঠন করা উচিত -শফিকুল ইসলাম রাওয়ালপিণ্ডি, ১০ই অক্টোবর (পিপিআই)- কাউন্সিল মুসলিম লীগের ভাইস প্রেসিডেন্ট জনাব শফিকুল ইসলাম বলেছেন যে বর্তমান পরিস্থিতি মোকাবিলা করার জন্য সকল দেশপ্রেমিক রাজনৈতিক দলগুলোর সমন্বয়ে অবিলম্বে কেন্দ্রে একটি জাতীয় সরকার গঠন করা উচিত। পূর্ব পাকিস্তানের তিন জন প্রতিনিধির সমন্বয়ে গঠিত দলের সদস্য হিসেবে বিশ্ব সফরে রওয়ানা হওয়ার পূর্বে এক সাক্ষাৎকারে জনাব শফিকুল ইসলাম বলেন যে তাঁদের এই বেসরকারী সফরের প্রধান লক্ষ্য হচ্ছে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে অব্যাহত ভারতীয় প্রচারণার ফলে সৃষ্টি ভুল বুঝাবুঝি দূর করা। জনাব ইসলামের লণ্ডনের পথে করাচী রওয়ানা হওয়ার পূর্বে এই সাক্ষাৎকার গৃহীত হয়। এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন যে প্রেসিডেন্টের ক্ষমতা হস্তান্তরের কাজ সহজতর করার জন্য একটি গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠা ও একটি জনপ্রিয় শাসনতন্ত্র জারী না হওয়া পর্যন্ত কেন্দ্রে একটি জাতীয় সরকার থাকা উচিত। তিনি বলেন যে এতে সকল ন্তরের জনগণের মধ্যে আস্থার ভাব সৃষ্টি হবে। জনাব ইসলাম বলেন যে দেশের আদর্শ ও অখণ্ডতার সঙ্গে সঙ্গতি রেখেই এই জাতীয় সরকার গঠন করতে হবে। -দৈনিক পাকিস্তান, ১২ অক্টোবর, ১৯৭১ ভারতীয় প্রচারণা চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয়েছে -শাহ আজিজ নিউইয়র্ক, ২৪শে অক্টোবর (এপিপি)- পূর্ব পাকিস্তানের একজন বিশিষ্ট নেতা শাহ আজিজুর রহমান গতকাল এখানে বলেন যে, বাংলাদেশ ধাপ্পার স্বরূপ এখন বহুলাংশে উদঘাটিত হয়ে গেছে। জাতিসংঘে পাকিস্তানী প্রতিনিধিদলে অন্যতম সদস্য জনাব রহমান স্বদেশে প্রত্যাবর্তনের পূর্বে গতকাল এপিপির বিশেষ সংবাদদাতার এক সাক্ষাৎকারে বলেন, এখানে এক মাসেরও অধিক সময় অবস্থানকালে তিনি জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিদের সাথে সাক্ষাৎ করেছেন এবং তাঁরা সবাই পাকিস্তানের বক্তব্য বেশ আগ্রহ সহকারে শ্রবণ করেছেন। তিনি বলেন, এটা এখন আর এক তরফা ব্যাপার নয় এবং ভারতীয় প্রচারণার বিশ্বাসযোগ্যতা এখন চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হচ্ছে। জনাব রহমান বলেন, জাতিসংঘে প্রতিনিধিরা পূর্ব পাকিস্তানের অর্থনীতির ক্ষতি সাধনের উদ্দেশ্যে অনুপ্রবেশকারী প্রেরণ থেকে ভারত বিরত থাকলে পাকিস্তান ভারতীয় সীমান্ত থেকে সৈন্য প্রত্যাহারের যে আশ্বাস দিয়েছে, এ জন্য বিশেষভাবে প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খানের সিদ্ধান্তের প্রশংসা করেছেন। ভারত ও পাকিস্তান সীমান্তের উভয় পার্শ্বে জাতিসংঘ পর্যবেক্ষক নিয়োগের প্রস্তাব গ্রহণের জন্য পাকিস্তান সরকারের প্রশংসা করা হয়। শাহ সাহেব বলেন, প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খানের ব্যাপক সাধারণ ক্ষমা প্রদর্শনের কথা ঘোষণার ফলে বিভিন্ন দেশের মধ্যে পূর্বেই সৃষ্ট ভুল ধারণা অবসানে বেশ সহায়ক হয়েছে। বসবাসকারী বহুসংখ্যক বাঙ্গালী যারা ভারতীয় প্রচারণার বিভ্রান্ত হয়েছিলেন, তাঁরা এখন পাকিস্তান সরকারের গৃহীত ব্যবস্থার যৌক্তিকতা অনুধাবন করতে পেরেছেন। তিনি বলেন, এই মুহুর্তে সর্বাধিক প্রয়োজন হচ্ছে ভারতীয় মিথ্যা প্রচারণাকে প্রকৃত ঘটনার আলোকে অত্যন্ত নিপুণভাবে খণ্ডনের উদ্দেশ্যে বিভিন্ন দেশে সুদক্ষ পাকিস্তানীদের প্রেরণ করা। শাহ সাহেব বলেন, আমরা যাদের