পাতা:বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্র (সপ্তম খণ্ড).pdf/৬৬৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

635 বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্র : সপ্তম খণ্ড সাথেই দেখা করেছি ও কথা বলেছি, তাঁরা একথা বুঝতে পেরেছেন যে উথান্টের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে ভারত উদ্বাস্তুদের দেশে প্রত্যাবর্তনের ব্যাপারে সহযোগিতা করতে চাচ্ছে না। -দৈনিক পাকিস্তান, ২৫ অক্টোবর, ১৯৭১ রাজাকারদের সংখ্যা বৃদ্ধি ও তাদের আরো অস্ত্র দেয়ার সুপারিশ প্রেসিডেন্ট সকাশে নুরুল আমীন লাহোর, ১৬ই নবেম্বর (এপিপি)- পাকিস্তান ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রেসিডেন্ট জনাব নূরুল আমীন আজ এখানে গভর্নর ভবনে প্রেসিডেন্ট জেনারেল ইয়াহিয়া খানের সঙ্গে নব্বই মিনিট ব্যাপী এক বৈঠকে মিলিত হন। বৈঠকের পর জনাব নুরুল আমীন সাংবাদিকদের বলেন যে, তিনি প্রধানতঃ পূর্ব পাকিস্তানের সর্বশেষ পরিস্থিতি সম্পর্কে আলোচনা করেছেন। সেখানকার আসন্ন উপ-নির্বাচন সম্পর্কেও আলোচনা হয়েছে বলে তিনি জানান। তিনি বলেন যে, পূর্ব পাকিস্তানে উপ-নির্বাচনের কাজ শুরু হওয়ার পর থেকে ভারত পূর্ব পাকিস্তানে তার ধ্বংসাত্মক তৎপরতা বাড়িয়ে দিয়েছে। তিনি জানান যে প্রেসিডেন্টের কাছে তিনি পূর্ব পাকিস্তানে রাজাকারদের সংখ্যা বৃদ্ধি করার ও তাদের আরো অস্ত্র দেয়ার সুপারিশ করেছেন। তিনি বলেন যে, সেখানে রাজাকাররা খুব ভাল কাজ করছে কিন্তু বর্তমানে তাদের সকলের নিকট অস্ত্র নেই। রাজাকাররা তাদের রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের লোকদের হত্যা করছে বলে যে অভিযোগ করা হয়েছে জনাব নূরুল আমীন তার সত্যতা অস্বীকার করেন। জনাব নূরুল আমীন বলেন যে, তিনি ২০শে ডিসেম্বরের পূর্বেই খসড়া শাসনতন্ত্রটি প্রকাশের জন্য প্রেসিডেন্টের নিকট প্রস্তাব করেছেন। উল্লেখযোগ্য যে, ২০শে ডিসেম্বর শাসনতন্ত্র জারির দিন নির্ধারণ করা হয়েছে। পিডিপি পধান বলেন যে ২০শে ডিসেম্বরের পূর্বেই খসড়া শাসনতন্ত্রটি প্রকাশ করা হলে ২৭শে ডিশেম্বর জাতীয় পরিষদের অধিবেশন শুরু হওয়ার পূর্বেই রাজনৈতিক দলগুলো খসড়া শাসনতন্ত্রটি বিবেচনা করার জন্য আরো সময় পাবে। এক প্রশ্নের উত্তরে জনাব আমীন বলেন যে প্রেসিডেন্ট তাঁর ক্ষমতা হস্তান্তরের কর্মসূচীতে অটল থাকবেন। তিনি বলেন যে, সেনাবাহিনীর হাতে যত বেশী দিন ক্ষমতা থাকবে, দেশের জন্য ততই খারাপ হবে। পিপিআই পরিবেশিত খবরে প্রকাশ, জনাব নূরুল আমীন জানান যে প্রেসিডেন্টের সঙ্গে আলোচনায় তিনি সন্তুষ্ট হয়েছেন। তিনি বলেন যে ভবিষ্যতে শাসনতন্ত্র সম্পর্কে আলোচনার সময় তিনি শাসনতন্ত্রে পূর্ব পাকিস্তানকে কি পরিমাণ প্রাদেশিক স্বায়ত্তশাসন দেয়া হচ্ছে তা জানতে চান। প্রেসিডেন্ট তাঁকে আশ্বাস দেন যে পূর্ব পাকিস্তানকে সর্বাধিক স্বায়ত্তশাসন দেওয়া হবে। ‘সর্বাধিক স্বায়ত্তশাসনের কোন সংজ্ঞা দেয়া হয়েছে কিনা এই মর্মে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন যে চারটি বিষয় যথা প্রতিরক্ষা, পররাষ্ট্র বিষয়, মুদ্রা ও বৈদেশিক বাণিজ্য কেন্দ্রের নিয়ন্ত্রণে থাকবে। বৈদশিক সাহায্য ও ঋণ সম্পর্কে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন যে, কেন্দ্রীয় সরকার আলোচনা করে এ সমস্ত সাহায্যও ঋণ সংগ্রহ করবে এবং বিভিন্ন প্রদেশের জনসংখ্যার ভিত্তিতে প্রদেশগুলোতে তা ব্যয় করা হবে। অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন যে শেখ মুজিবের মুক্তি প্রশ্ন নিয়ে কোন আলোচনা হয়নি। তিনি বলেন যে প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান শীঘ্রই পূর্ব পাকিস্তান সরকারের কথা বিবেচনা করছেন। তিনি জানান যে, প্রেসিডেন্ট পূর্ব পাকিস্তানে রাজাকারদের সংখ্যা বৃদ্ধি করার ও তাদের আরো অস্ত্রশস্ত্র দিতে সম্মত হয়েছেন। পূর্ব পাকিস্তানে ভারতের ধ্বংসাত্মক তৎপরতা বৃদ্ধি প্রসঙ্গে তিনি বলেন কেবল যে একটি যুদ্ধের আশঙ্কা রয়েছে তাই নয়, প্রকৃতপক্ষে উক্ত এলাকায় যুদ্ধ শুরু হয়ে গেছে। এপিপির খবরে আরো বলা হয়, অপর