পাতা:বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্র (সপ্তম খণ্ড).pdf/৬৭৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

645 বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্র : সপ্তম খণ্ড (দুই) বেসামরিক সহযোগিতা শিরোনাম সূত্র তারিখ ২১৯ জেনারেল টিক্কা খান সকাশে নেতৃবর্গঃ সংবাদপত্র Ֆի,Գ Տ সহযে গতার আশ্বাস জেনারেল টিক্কা খান সকাশে নুরুল আমীনসহ ১২ জন নেতা পূর্ণ স্বাভাবিক অবস্থা ফিরিয়ে আনতে সহযোগিতার আশ্বাস গতকাল রবিবার অপরাহ্নে জনাব নূরুল আমীনের নেতৃত্বে ১২ জন বিশিষ্ট নেতার সমন্বয় গঠিত একটি প্রতিনিধি দল ‘খ’ অঞ্চলের সামরিক আইন প্রশাসক লেফটেন্যান্ট জেনারেল টিক্কা খানের সাথে সাক্ষাৎ করেন। সামরিক আইন কর্তৃপক্ষের এক প্রেস রিলিজে এ কথা জানান হয়েছে। মৌলভী ফরিদ আহমদ, অধ্যাপক গোলাম আজম, খাজা খয়েরউদ্দীন, জনাব শফিকুল ইসলাম, মওলানা নুরুজ্জামান প্রমুখ নেতৃবৃন্দ এ প্রতিনিধিদলে ছিলেন। অবিলম্বে সমগ্র, প্রদেশে সম্পূর্ণ স্বাভাবিক অবস্থা ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে প্রতিনিধি দল সামরিক আইন প্রশাসককে পূর্ণ সহযোগিতার আশ্বাস এবং জনগণের মন থেকে ভিত্তিহীন ভয় দূর করার উদ্দেশ্যে তারা ঢাকায় নাগরিক কমিটি গঠন করারও প্রস্তাব দেন। পূর্ব পাকিস্তানী নেতৃবৃন্দ পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে ভারতের হস্তক্ষেপের তীব্র নিন্দা এবং ভারতের বিদ্বষপূর্ণ প্রচারণার প্রতিবাদ করেন। প্রতিনিধি দলের সহযোগিতার আশ্বাসকে ধন্যবাদ জানিয়ে সামরিক আইন প্রশাসক পূর্ব পাকিস্তানের অর্থনৈতিক জীবনের পুনর্গঠন সম্পর্কে প্রশাসন কর্তৃক গৃহীত ব্যবস্থাদি সম্পর্কে অবহিত করেন। সামরিক আইন প্রশাসক বলেন যে, সাম্প্রতিক অর্থনৈতিক অচলাবস্থার ফলে যে ক্ষতি হয়েছে তা পূরণের কর্মচারীদের যোগদানের কথা উল্লেখ করে সামরিক আইন প্রশাসক বলেন যে, তারা চাপে পড়েই একাজ করেছেন এটা তিনি বুঝেছেন। এখনো যারা কাজে যোগদান করতে পারেননি তিনি অবিলম্বে তাদের কাজে যোগদানের নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি আরো বলেন যে, এমন কি এসব কর্মচারীদের ধর্মঘটের সময়েরও বেতনদানের জন্য তিনি ইতিপূর্বে নির্দেশ দিয়েছেন। সামরিক আইন প্রশাসক রাষ্ট্রদ্রোহী এবং সমাজ বিরোধীদের কার্যকলাপের ফলে যারা স্থানচ্যুত হয়েছেন তাদের পুনর্বাসন তুরান্বিত করার প্রয়োজনের উপরেও গুরুত্ব আরোপ করেন। জেনারেল টিক্কা খান বলেন যে, প্রদেশে কোন খাদ্য ঘাটতি নেই। এ প্রসঙ্গে তিনি হুশিয়ারী উচ্চারণ করে বলেন যে, যদি দুস্কৃতিকারীরা খাদ্য শস্য প্রেরণে বাধা দেয় তাহলে কোন কোন এলাকা অসুবিধার সম্মুখীন হতে পারে।

  • জাতীয় পরিষদ অধিবেশন স্থগিতের পর জেনারেল ইয়াহিয়ার সামরিক কার্যক্রমে বাধাদানকারী এবং পরবর্তী সময়ে গেরিলা ও মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণকারী বাঙ্গালীদেরকে দখলদার বাহিনী রাষ্ট্রদ্রোহী সমাজবিরোধী ও দুস্কৃতিকারী বলে অভিহিত করতো।