পাতা:বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্র (সপ্তম খণ্ড).pdf/৬৮০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

646 বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্র : সপ্তম খণ্ড তিনি পুনরায় এ ধরনের দুষ্কৃতকারী, রাষ্ট্রদ্রোহী ও সমাজ বিরোধীদের আশ্রয় না দেয়ার এবং এদের সম্পর্কে সংবাদ পৌছে দেয়ার জন্য জনগণকে উপদেশ দেন। এই প্রসঙ্গে তিনি সামরিক আইন কর্তৃপক্ষ কর্তৃক শান্তিপ্রিয় জনগণের জানমালের পূর্ণ নিরাপত্তাবিধানের কথা পুনরুল্লেখ করেন। -পূর্বদেশ, ৫ এপ্রিল, ১৯৭১ আরো কয়েকজন নেতা সামরিক আইন কর্তৃপক্ষের এক হ্যাণ্ড আউটে প্রকাশ, পূর্ব পাকিস্তানের আরো কতিপয় রাজনৈতিক নেতা গতকাল মঙ্গলবার ঢাকায় ‘খ’ অঞ্চলের সামরিক আইন শাসনকর্তার সঙ্গে দেখা করেন এবং প্রদেশের সর্বত্র দ্রুত পূর্ণ স্বাভাবিক অবস্থা ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে পূর্ণ সহযোগিতার আশ্বাস দেন। জেনারেল টিক্কা খানের সংগে যারা পৃথক পৃথকভাবে দেখা করেন তারা হচ্ছেন সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী জনাব হামিদুল হক চৌধুরী, পূর্ব পাকিস্তান জামাতে ইসলামীর সভাপতি অধ্যাপক গোলাম আজম, জমিয়তে ওলামায়ে ইসলামের পূর্ব পাকিস্তান শাখার সভাপতি পীর মোহসেন উদ্দিন ও স্থানীয় বিশিষ্ট এডভোকেট এ.কে, সাদী। নেতৃবর্গ পাকিস্তানের অভ্যান্তরীণ ব্যাপারে ভারতের অনাহুত হস্তক্ষেপ ও পাকিস্তানে তার সশস্ত্র অনুপ্রবেশের ব্যাপারে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তারা বলেন যে ভারতীয় অভিসন্ধি নস্যাৎ করার জন্য প্রদেশের দেশপ্রেমিক জনগণ সশস্ত্র বাহিনীকে সাহায্য করবে। নাগরিকের জান মাল পুরোপুরিভাবে রক্ষার কাজ অব্যাহত রাখবে। তিনি পুনরায় গত মাসের নিন্ত্রীয়তার ফলে ক্ষয়ক্ষতি পূরণের জন্য প্রদেশের অর্থনীতি পূর্ণোদ্যমে চালু করার উপর গুরুত্ব আরোপ করেন। -দৈনিক পাকিস্তান, ৭ এপ্রিল, ১৯৭১ আব্দুস সবুর খান প্রশাসক লেঃ জেনারেল টিক্কা খানের সাথে সাক্ষাৎ করেন। জনাব সবুরের সাথে তাঁর কয়েকজন বিশিষ্ট রাজনৈতিক সহযোগীও ছিলেন। -দৈনিক পাকিস্তান, ৮ এপিল, ১৯৭১ নুরুল আমীনের নেতৃত্বে প্রতিনিধিদল গতকাল শুক্রবার ঢাকা এপিপি পরিবেশিত এক খবরে বলা হয়েছে যে গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় জনাব নুরুল আমিনের নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় শান্তি কমিটির কার্যনির্বাহক কমিটির একটি প্রতিনিধিদল গভর্নর ভবনে পূর্ব পাকিস্তানের গভর্নর লেঃ জেনারেল টিক্কা খানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। শান্তি কমিটির সদস্যগণ নাগরিকদের মধ্যে স্বাভাবিক অবস্থা ও আস্থা পুনঃপ্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে যে অগ্রগতি সাধিত হয়েছে তৎসম্পর্কে গভর্নরকে অবহিত করেন। তাঁরা জনসাধারণ যে কতিপয় অসুবিধা ভোগ করছে তৎপ্রতিও গভর্নরের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। আলোচনাকালে কমিটির সদস্যরা গভর্নরকে জনান যে, জনসাধারণ ভারতের কুমতলব পুরোপুরি উপলব্ধি করতে পেরেছে এবং পাকিস্তানের সংহতি ও অখণ্ডতা রক্ষার জন্য তাঁরা সম্পূর্ণভাবে সশস্ত্র বাহিনীর সঙ্গে রয়েছে।