পাতা:বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্র (সপ্তম খণ্ড).pdf/৬৮৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

651 বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্র : সপ্তম খণ্ড অফিসার নিয়োগ করেছে। তারা ইতিমধ্যে তাদের দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন। যোগাযোগ রক্ষাকারী অফিসারদিগকে প্রতিদিন কেন্দ্রীয় শান্তি কমিটি অফিসে তাদের রিপোর্ট পেশ করতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। -দৈনিক পাকিস্তান, ২০ এপ্রিল ১৯৭১ সশস্ত্র বাহিনীকে সাহায্য করার আহবান হিংসাত্মক এবং নাশকতামূলক কার্যকলাপ প্রতিরোধের এবং উদ্যম ও উৎসাহের সাথে সবরকমভাবে সশস্ত্র বাহিনীকে সাহায্য করার আহবান জানিয়েছেন। গতকাল বুধবার কমিটির আহবায়ক এস কে খয়ের উদ্দীন প্রচারিত প্রেস রিলিজে কেন্দ্রীয় শান্তি কমিটি বলেন, রাষ্ট্রবিরোধী ব্যক্তিরা সারা প্রদেশে সম্পূর্ণ বিপর্যস্ত হওয়ায় এখন পোড়ামাটি নীতি অবলম্বন করেছে, শান্তি প্রিয় নাগরিকদের হয়রান করেছে এবং যোগাযোগ ব্যবস্থা ধ্বংস করে দিচ্ছে। সশস্ত্র বাহিনী আমাদের জনগণের এবং আমাদের জানমাল রক্ষার জন্যই এসেছেন। সশস্ত্র বাহিনী যেখানেই যাবে সেখানে জাতীয় পতাকা হাতে নিয়ে এগিয়ে আসার এবং রাষ্ট্র বিরোধী ব্যক্তি ও দুষ্কৃতকারীদের নির্মুল করার অভিযানে সশস্ত্র বাহিনীকে সাহায্য করে অপ্রীতিকর ঘটনা এড়ানোর জন্য শান্তি কমিটি দেশপ্রেমিক জনসাধারণের প্রতি আহবান জানিয়েছেন। কমিটি বলেছেন, দেশের সেনাবাহিনীকে ভয় পাওয়ার কিছু নেই। শান্তিপ্রিয় ও দেশপ্রেমিক পূর্ব পাকিস্তানী জনগণ ভারতীয় বেতারের বিদ্বেষ প্রচারণার এবং রাষ্ট্রবিরোধী লোকদের গুজব ছড়ানোর প্রকৃত উদ্দেশ্য বুঝতে পারবেন বলে কমিটি আশা প্রকাশ করেছেন। খণ্ডিত হওয়ার হাত থেকে দেশকে রক্ষার মহান কাজে সেনাবাহিনীর সাফল্যের জন্য কমিটি আল্লাহর কাছে গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। -দৈনিক পাকিস্তান, ২৩ এপ্রিল ১৯৭১ শান্তি কমিটি প্রতিনিধিদের জেলা ও মহকুমায় পাঠানো হচ্ছে। কেন্দ্রীয় শান্তি কমিটির মিশন পূরণের জন্য জেলা ও মহকুমা সদও দফতরের কেন্দ্রীয় শান্তি কমিটির প্রতিনিধিদের পাঠানো হচ্ছে। স্বাভাবিক জীবনযাত্রা দ্রুত পুনঃপ্রতিষ্ঠা, রাষ্ট্রবিরোধী ও সমাজ বিরোধী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে জনগণকে সজাগ রাখা ও গুজব রটনাকারীদের দুরভিসন্ধি প্রতিরোধের উদ্দেশ্যে এই কমিটি গঠিত হয়েছে। এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির উদ্ধৃতি দিয়ে গতকাল রোববার এপিপি জানিয়েছেন যে ইতিমধ্যেই যদি এ ধরনের কোনো কমিটি গঠিত হয়ে থাকে তাহলে এসব কমিটিকে স্বীকৃতির জন্য কেন্দ্রীয় অফিসে তাদের নাম পাঠাতে বলা হয়েছে। কেন্দ্রীয় কমিটি সংশ্লিষ্ট প্রশাসনিক কর্তৃপক্ষের কাছে স্বীকৃত শান্তি কমিটির রিপোর্ট দেবে। তাছাড়া ঢাকা শহরে পূর্ণ স্বাভাবিক অবস্থা পুনঃপ্রতিষ্ঠার পরিবেশ সৃষ্টিতে সাহায্য করার উদ্দেশ্যে কেন্দ্রীয় শান্তি কমিটির উদ্যোগে শহরের বিভিন্ন এলাকায় শান্তি স্কোয়াড বের করা হচ্ছে ।