পাতা:বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্র (সপ্তম খণ্ড).pdf/৬৯৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

664 বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্র : সপ্তম খণ্ড শিরোনাম সূত্র তারিখ ২২২ রাজাকার, মুজাহিদ, আল বদর ও আল শামস বাহিনীঃ গঠন ও তৎপরতা সংবাদপত্র Ֆ ֆ Գ Ֆ ফুলপুরে রাজাকারদের ট্রেনিং সমাপ্ত ঢাকা, ৯ই জুলাই (এপিপি)- ফুলপুর থানা ট্রেনিং ও উন্নয়ন কেন্দ্রের মাঠে ১৬০ জন রাজাকার-এর এক কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হয়। এরা সকলেই সাত দিনের ট্রেনিং শেষ করেছেন। এই অনুষ্ঠানে ট্রেনিংপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা ছাড়াও শান্তি কমিটির সদস্য, ইউনিয়ন কাউন্সিলরসমূহের চেয়ারম্যান ও মেম্বারগণ এবং বিপুলসংখ্যক জনসাধারণ উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে ১৬০ জন রাজাকারকে সার্টিফিকেট প্রদান করা হয়। এছাড়া দু’জন রাজাকারকে তাঁদের কৃতিত্ব ও কর্তব্যনিষ্ঠার জন্য নগদ টাকা পুরস্কার দেয়া হয়। ফুলপুর থানা থেকে মোট সাড়ে ছশ রাজাকার মনোনীত করা হয় এবং এদের সকলকেই ট্রেনিং দেয়া হবে। কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানটি পাকিস্তান জিন্দাবাদ’, ‘কায়েদে আজম জিন্দাবদ’ ও ‘পাকিস্তানের সংহতি জিন্দাবাদ’ শ্লোগানের মধ্য দিয়ে শেষ হয়। -দৈনিক পাকিস্তান, ১০ জুলাই,১৯৭১ কুষ্ঠিয়ার মুজাহিদ ও রাজাকারদের কুচকাওয়াজ কুষ্টিয়া, ১৫ই জুলাই, (এপিপি)- গতকাল সকালে স্থানীয় ইউনাইটেড স্কুল ময়দানে মুজাহিদ ও রাজাকারদের কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হয়। কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে পদস্থ সরকারী অফিসার ও গণ্যমান্য বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গসহ বহুসংখ্যক লোক উপস্থিত ছিলেন। জেলা কমিটির চেয়ারম্যান জনাব সাদ আহমদ ২ হাজার রাজাকারের অভিবাদন গ্রহণ করেন। তিনি তাদের প্রতি সুদৃঢ়ভাবে ঐক্যবন্ধ হওয়া এবং শত্রদের ধ্বংস করার কাজে সশস্ত্র বাহিনীকে সাহায্য করার জন্য আহবান জানান। উৎসাহী রাজাকার ও শান্তি কমিটির সদস্যবৃন্দ এবং সমাবেশ যোগদানকারী জনতার একটা অংশ বিভিন্ন শ্লোগান সহকারে শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। তারা পাকিস্তান জিন্দাবাদ প্রভৃতি শ্লোগান দেয়।..... -দৈনিক পাকিস্তান, ১৬ জুলাই, ১৯৭১ গত রোববার ইসলামপুর ইউনিয়ন শান্তি কমিটির অফিসে এক জরুরী সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় ইসলামপুর ইউনিয়ন শান্তি কমিটির আহবায়ক জনাব মোবারক হোসেন সভাপতিত্ব করেন। ইসলামপুর ইউনিয়ন শান্তি কমিটির এক প্রেস রিলিজে বলা হয় যে, সভায় প্রত্যেকটি ইউনিটের ২৫ জন করে লোক নিয়ে একটি রাজাকার বাহিনী গঠন করা হয়। সভায় মহল্লার শান্তি ও শৃংখলা বজায় রাখার উপর বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করা হয়।