পাতা:বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্র (সপ্তম খণ্ড).pdf/৬৯৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

665 বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্র : সপ্তম খণ্ড সভায় পাকিস্তানের সংহতি ও ঐক্যের জন্য বিশেষ মোনাজাত করা হয়। পাকিস্তান বাহিনীর সময়মত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সভায় পাকিস্তান সশস্ত্র বাহিনীর ভূমিকার প্রশংসা করা হয়। -দৈনিক পাকিস্তান, ২৭ জুলাই, ১৯৭১ রাজাকাররা, ৭০ জন দুষ্কৃতকারীকে হত্যা করেছে রাজাকাররা ময়মনসিংহ জেলায় গত মাসে ৭০ জন রাষ্ট্রবিরোধী লোককে নিহত এবং বহুজনকে আহত করেছে। এছাড়া তারা বিপুল পরিমাণ অস্ত্রশস্ত্র ও গোলাবারুদ দখল করেছে। গতকাল সোমবার ঢাকায় এপিপি এ খবর পরিবেশন করেছে। এখানে প্রাপ্ত বিস্তারিত খবরে প্রকাশ, দুষ্কৃতকারীরা গত ৪ঠা জুলাই শেরপুরের কাছে একটি গ্রামের সেতু ংস করার চেষ্টা করে। রাজাকাররা তাদের বহুজনকে হতাহত করে সেতু ধ্বংস করার চেষ্টা ব্যর্থ করে দেয়। দুষ্কৃতকারীরা ১৯টি লাশ ১৩ খণ্ড টিএনটি, কয়েকটি হাতবোমা, ট্যাংক বিধ্বংসী মাইন এবং ভারতে তৈরী ১৯টি বিস্ফোরক টিউব ছেড়ে পালিয়ে গেছে। শেরপুর থেকে ২০ মাইল দূরবর্তী একটি গ্রামে দুষ্কৃতকারীদের অবস্থানের খবর পেয়ে পরদিন রাজাকররা উক্ত গ্রামে গিয়ে ২০ জন দুষ্কৃতকারীকে হত্যা করেছে এবং কিছু রাইফেল, হাত বোমা এবং ৩০০ মণ চাল উদ্ধার করেছে। ১৩ ও ১৪ই জুলাইয়ের রাতে রাজাকাররা যখন নিয়মিত টহলদারীতে নিয়োজিত সেই সময় নকলা এলাকায় দুষ্কৃতকারীদের সাথে তাদের সংঘর্ষ হয়। এই সংঘর্ষে রাজাকাররা ৪ জন দুষ্কৃতকারীকে হত্যা করে। তারা দুটো ষ্টেনগান, ৬টি হাতবোমা, ৬০ রাউন্ড ৩০৩ রাইফেলের গুলী উদ্ধার করে। -দৈনিক পাকিস্তান, ১০ আগষ্ট, ১৯৭১ রাজশাহীতে রাজাকারদের কুচকাওয়াজ রাজশাহী, ১৫ই আগষ্ট, (ইউপিআই)। ট্রেনিং সমাপ্তি শেষে রাজাকারদের দ্বিতীয় দলটি গত বৃহস্পতিবার এখানে তাদের কুচকাওয়াজে পাকিস্তান ও ইসলামের স্বার্থে তাদের জীবন উৎসর্গ করার শপথ গ্রহণ করে। সাহেব বাজার জামে মসজিদেও ইমাম তাদেও অভিবাদন গ্রহণ করেন। রাজাকারদের তাদের পবিত্র দায়েতাব সম্পর্কে স্মরণ করিয়ে দেয়া হয় শান্তি কমিটির সদস্যবৃন্দসহ অপরাপর নেতৃবৃন্দও উক্ত অনুষ্ঠানে ভাষন দান করেন। দৈনিক পাকিস্তান, ১৬ ই আগষ্ট, ১৯৭১ গফরগাঁয়ে আল-বদর বাহিনী গঠিত (নিজস্ব সংবাদাতা,প্রেরিত) গফরগাঁও, ২রা সেপ্টেম্বর, গতকাল বিপুল উৎসাহ - উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে গফরগাঁয়ে আল-বদর বাহনী গঠিত হয়েছে এতদুপলক্ষে এখানে এক সভার আয়োজন করা হয়, এবং তাতে স্থানীয় শিক্ষক, ছাত্র, যুবক, রাজাকার ও শান্তি কমিটির সদস্যবর্গসহ সমাজের বিভিন্ন স্তরের লোক যোগদান করেন।