পাতা:বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্র (সপ্তম খণ্ড).pdf/৭০০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

666 বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্র : সপ্তম খণ্ড অনুষ্ঠানের সভাপতি মাওলানা আনিসুর রহমান মুর্শিদাবাদী বক্তৃতায় আল-বদর বাহিনীর আদর্শ ও উদ্দেশ্য ব্যাখ্যা করেন এবং আল - বদর বাহিনীর দেশ প্রেমিক যুবকদের দেশের শান্তি ও শৃঙ্খলা রক্ষার কাজে আত্মনিয়োগ করতে বলেন। সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তৃতা করেন ঢাকা ইঞ্জিনিয়ারিং ইনষ্টিটিউটের ছাত্র সংঘের নেতা জনাব মহিউদ্দীন ও ময়মনসিংহ জেলার ইসলামী ছাত্র সংঘের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জনাব মুজিবর রহমান । -দৈনিক পাকিস্তান, ৬ সেপ্টেম্বর, ১৯৭১ আল-শামস বাহিনীর তৎপরতা গতকাল মঙ্গলবার রাজাকার সংস্থার স্বেচ্ছাবাহিনী আল-শামস ময়মনসিংহ, যশোর, ও চট্টগ্রামে সাফল্যের সঙ্গে তিনটি অভিযান চালায়। আল-শামস রাজাকার সংস্থার একটি স্বেচ্ছাসেবী বাহিনী। এরা সেনাবাহিনীর তদারকীতে ট্রেনিং গ্রহণ ও কাজ করছে। ময়মনসিংহে তারা কিশোরগঞ্জের দক্ষিণ-পূর্বে ভারতীয় চরদের একটি গোপন আড্ডায় আক্রমণ চালিয়ে ষ্টেনগান, ৯টি রাইফেল এবং ৫টি হাত বোমা উদ্ধার করে। এসব অস্ত্র উদ্ধার করার সময় তারা একদল ভারতীয় চরের সঙ্গে সংঘর্ষে লিপ্ত হয় এবং তাদের ৩ জনকে হত্যা করে। অন্যান্যরা পালিয়ে যায়। চট্টগ্রাম থেকে এপিপির খবরে বলা হয়, দেশপ্রেমিক নাগরিকদের মাধ্যমে সন্ধান পেয়ে আল-শামস চট্টগ্রামের উত্তরে হাট হাজারীতে একটি বেসরকারী বাড়ীতে হানা দিয়ে নাশকতামূলক প্রচুর বই পুস্তক উদ্ধার করে। তারা বাড়ীর মালিককেও গ্রেফতার করে। যশোর আল-শামস ঝিনাইদহের দক্ষিণ-পূর্বে আর একটি পাড়ায় ভারতীয় চরদের সঙ্গে এক সংঘর্ষে লিপ্ত হয় এবং তাদের চার জনকে হত্যা করে। এতে আল-শামস এর একজন সদস্যও আহত হয়। ভারতীয় চরদের আঘাত হানার পর আল-শামস ভারতীয় অস্ত্রশস্ত্র ও গোলাবরুদের একটি ডিপোর সন্ধান লাভ করে। সেখান থেকে তারা ১৩টি রাইফেল, ২৪টি শর্ট মাইন এবং ৬০ পাউন্ড বিস্ফোরক দ্রব্য উদ্ধার করে। -দৈনিক পাকিস্তান, ৩ নভেম্বর, ১৯৭১ রাজাকারদের সাফল্যজনক অভিযান পিরোজপুর, ৪ঠা নভেম্বর। মহকুমার নাজিরপুর থানার রাজাকাররা থানা পুলিশের সাহয্যে সাতকানিয়ায় একদল ভারতীয় চরের সঙ্গে সাহসিকতার সাথে লড়াই করে। সংঘর্ষে ৪জন ভারতীয় চার নিহত হয়েছে এবং একজন ভারতে তৈরী একটি ষ্টেনগান, একটি রাইফেল, ও দুটো স্বয়ংক্রিয় অস্ত্রসহ ধরা পড়েছে বলে এক সরকারী হ্যাণ্ডআউটে প্রকাশ। ভারতীয় চর লুতফর রহমান জানায় যে তাদের ভারতে ট্রেনিং দেয়া হয়েছে এবং ভারতীয় সেনাবাহিনী তাদের অস্ত্রশস্ত্র ও গোলা বারুদ সরবরাহ করেছে। এপিপি পরিবেশিত খবরে প্রকাশ, রাজাকাররা দ্রুত অভিযান চালিয়ে বান্দরবন এলাকা থেকে ভারতীয় চরদের নির্মুল করেছে। তারা দুজন ভারতীয় চরকে হত্যা ও দুজনকে বন্দী করেছে। এছাড়া তারা ভারতে তৈরী বিপুল পরিমাণ অস্ত্রশস্ত্রও উদ্ধার করেছে। এসব ভারতীয় চর স্থানীয় লোকদের হয়রানি করছিল, তাদের বাড়ীঘর জালিয়ে দিচ্ছিল ও সম্পত্তি লুট করছিল। সিলেট থেকে প্রাপ্ত খবরে প্রকাশ, রাজাকারদের আল-শামস বাহিনী সুনামগঞ্জের উত্তর পশ্চিম এলাকায় টহল দেয়ার সময় দুটো সন্দেহজনক নৌকাকে চ্যালেঞ্জ করলে আরোহীরা তাদের প্রতি গুলি ছুড়তে শুরু করে। ফলে একজন রাজাকার আহত হয়। রাজাকাররা সাথে সাথে পাল্টা গুলি চালালে নৌকার আরোহীরা