পাতা:বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্র (সপ্তম খণ্ড).pdf/৭০১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

667 বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্র : সপ্তম খণ্ড পড়ে পালাবার চেষ্টা করে। কিন্তু তাদের ৪ জন নিহত হয়। রাজাকাররা নৌকা থেকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্রশস্ত্র উদ্ধার করে। ভৈরব বাজার থেকে প্রাপ্ত খবরে প্রকাশ আল বদর বাহিনী ভৈরব বাজার থেকে ৩ মাইল উত্তর পূর্বে শিমুলকান্দীতে ভারতীয় চরদের গোপন আড্ডায় হানা দিয়ে ৬টি রাইফেল, ৪টি ষ্টেনগান, ৮টি বেয়নেট ও গোলা বারুদ উদ্ধার করে। ভারতীয় চররা রাজাকারদের দেখামাত্র আড্ডা ছেড়ে পালিয়ে যায়। ব্রাহ্মণবাড়ীয়া থেকে প্রাপ্ত অপর এক খবরে বলা হয়েছে যে, রাজাকাররা বিদ্যাকোটের কাছে ভারতীয় চরদের সাথে এক সংঘর্ষে ৩ জনকে হত্যা করেছে। অপর ৫জন অস্ত্রশস্ত্রসহ আত্মসমর্পণ করেছে। -দৈনিক পাকিস্তান, ৫ নভেম্বর, ১৯৭১ আল-শামস ও আল-বদর বাহিনীর সাফল্যজনক অভিযান রাজাকারদের আল-শামস ও আল-বদর বাহিনী গতকাল শনিবার কুমিল্লা ও রাজশাহী জেলায় দুটো সাফল্যজনক অভিযান পরিচালনা করে বলে এপিপির খবরে প্রকাশ। তারা ১ হাজার ৮শ ৫০ পাউণ্ড গুলিসহ ১০টি রাইফেল, ১১টি ম্যাগজিনসহ ২টি ষ্টেনগান, ৯৫টি হাতবোমা ও ১৩০ পাউণ্ড বিস্ফোরক দ্রব্য উদ্ধার করে। কুমিল্লা থেকে প্রাপ্ত খবরে প্রকাশ, আল শামস ও রাজাকাররা জানতে পারে যে একদল ভারতীয় চর অগ্রসর হচ্ছে। ভারতীয় চররা গ্রামটিতে পোঁছা মাত্র রাজাকাররা তাদের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে ৫ জনকে হত্যা করে। অন্যান্যরা ৩শ ৭৫ রাউণ্ড গুলিসহ ৩টি রাইফেল, ১১টি ম্যাগজিন সহ ২টি ষ্টেনগান ও ৬০টি হাতবোমা ফেলে পালিয়ে যায়। রাজশাহী থেকে প্রাপ্ত অপর এক খবরে বলা হয় যে আল বদর-রাজাকাররা গতকাল নওগাঁর ১০ মাইল দক্ষিণে চৌধুরী ভবানীপুরের কাছে ভারতীয় চরদের একটি গোপন আড্ডায় হানা দেয়। তাদের আগমনের খবর পেয়ে ভারতীয় চররা ১ হাজার ৪শ রাউণ্ড গুলিসহ ৭টি রাইফেল, ৩৫টি হাতবোমা ও ১৩০ পাউণ্ড বিস্ফোরক দ্রব্য ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। -দৈনিক পাকিস্তান, ৭ নভেম্বর,১৯৭১ বদর দিবস পালিত পাকিস্তানের অখণ্ডতা ও সংহতি রক্ষার দৃঢ় সংকল্প ঘোষণা গতকাল রোববার বদর দিবস পালন করা হয়েছে। এ উপলক্ষে গতকাল বিকেলে বায়তুল মোকাররম প্রাঙ্গণে ঢাকা শহর ইসলামী ছাত্র সংঘের উদ্যোগে এক গণজমায়েত অনুষ্ঠিত হয়। এরপর এক মিছিল বেরোয়। গণজমায়েতে পূর্ব পাকিস্তান ইসলামী ছাত্র সংঘের সভাপতি জনাব আলী আহসান মোহাম্মদ মোজাহিদ এই বদর দিবস উপলক্ষে সংঘের পক্ষ থেকে একটি ৪ দফা ঘোষণা করেন। তিনি ঘোষণা করেন যে— (১) “দুনিয়ার বুকে হিন্দুস্তানের কোন মানচিত্রে আমরা বিশ্বাস করি না যতদিন পর্যন্ত দুনিয়ার বুক থেকে হিন্দুস্তানের নাম মুছে না দেয়া যাবে ততদিন পর্যন্ত আমরা বিশ্রাম নেব না।” লাইব্রেরীসমূহের প্রতি লক্ষ্য করে তিনি তার দ্বিতীয় দফা ঘোষণা করেন। তিনি বলেন (২) “আগামী কাল থেকে হিন্দু লেখকদের কোন বই অথবা হিন্দুদের দালালী করে লেখা পুস্তকাদি লাইব্রেরীতে স্থান দিতে পারবেন না বা বিক্রি বা প্রচার করতে পারবেন না। যদি কেউ করেন তবে পাকিস্তানের অস্তিত্বে বিশ্বাসী স্বেচ্ছাসেবকরা জুলিয়ে ভস্ম করে দেবে”। জনাব মুজাহিদের বাকি দুটি ঘোষণা হলঃ