পাতা:বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্র (সপ্তম খণ্ড).pdf/৯০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

56 বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্র : সপ্তম খণ্ড শিরোনাম তারিখ সূত্র ২৩। জেনারেল হামিদের উত্তরবঙ্গ সফর পূর্বদেশ ১ মে, ১৯৭১ জেনারেল হামিদের উত্তরবঙ্গ সফর ঢাকা, ৩০শে এপ্রিল (এ পি পি)- পাকিস্তান সশস্ত্র বাহিনী চীফ অব ষ্টাফ জেনারেল আবদুল হামিদ খান আজ পূর্ব পাকিস্তানের উত্তরাঞ্চলে সৈন্য বাহিনীর সাথে কর্মব্যস্ত দিন যাপন করেন। পূর্বাঞ্চলের কমান্ডার ও জিওসি তাঁর সাথে ছিলেন। জেনারেল হামিদ হেলিকপ্টারের সাহায্যে বিভিন্ন স্থানে ঘুরে দেখেন। তিনি নাটোর, রাজশাহী, ঠাকুরগাঁ ও রংপুরে অবতরণ করেন। পাকিস্তানী সৈন্য কিভাবে বিবরণ শ্রবণ করেন। পাকিস্তানী বাহিনী পশ্চিমাঞ্চলের সীমান্ত সম্পূর্ণ বন্ধ করে দিলে ভারতীয় সৈন্যরা রাষ্ট্রবিরোধীদের মনোবল ফিরিয়ে আনার জন্য সীমান্তের ওপার থেকে কামান ও মর্টারের গুলী বর্ষণ করে বলে তাঁকে জানান হয়। প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছিল কিন্তু এ সড়ক-প্রতিবন্ধকতা সরিয়ে ফেলা হলে অনুপ্রবেশকারীরা তেমন কোন বাধা দেয়নি ও অল্প কিছুক্ষণের মধ্যেই তাদের উৎখাত করা হয়েছিল। এদের অনেকে বেসামরিক পোশাক পরে নিজেদের জীবন রক্ষা করেছিল। একস্থান থেকে অন্যত্র যাওয়ার সময় জেনারেল হামিদ কৃষকদের ক্ষেতে চাষ করতে দেখেন। এছাড়া অন্যান্যরা তাদের স্বাভাবিক জীবন যাত্রা পালন করে চলেছে। এছাড়া তিনি যে কয়েকটি শহরে অবতরণ করেন সেখানে তিনি স্বাভাবিক জীবন যাত্রাও লক্ষ্য করেন। সশস্ত্র বাহিনীর আগমনের আগে ভারতীয় অনুপ্রবেশকারীরা সীমান্তবর্তী শহরগুলো থেকে কয়েক লাখ টন খাদ্য শস্য নিয়ে উধাও হয়। শুধুমাত্র দিনাজপুর থেকেই তারা তিন লাখ টন চাল, গম ও অন্যান্য খাদ্য শস্য নিয়ে পলায়ন করে। জেনারেল হামিদ প্রত্যেক স্থানে সৈন্যদের সাথে আলাপ আলোচনা করেন। তিনি সন্ধ্যায় আবার ঢাকায় ফিরে আসেন। এয়ার মার্শাল রহীম খানের ঢাকা ত্যাগ। পাকিস্তান বিমান বাহিনীর প্রধান এয়ার মার্শাল এ রহীম খান তিন দিনের পূর্ব পাকিস্তান সফরান্তে আজ ঢাকা থেকে করাচী রওয়ানা হয়ে গেছেন। এখানে অবস্থানকালে তিনি পুর্ব পাকিস্তানে বিমান বাহিনীর বিভিন্ন ইউনিট ও ছাউনী পরিদর্শন করেন।