এতে যদি ইকার যোগ করা যায় তাতে আর-একরকম ভঙ্গী এসে পড়ে। হলই-বা, করলই-বা: এর ভঙ্গীতে সুরের বৈচিত্র্য অনুসারে ক্ষমাও বোঝাতে পারে, স্পর্ধাও বোঝাতে পারে, উপেক্ষাও বোঝাতে পারে।
হল বুঝি, করল বুঝি, হল ব’লে, করল ব’লে: আসন্ন অপ্রিয়তার আশঙ্কা।
হল যে, করল যে: উদ্বেগ।
হল তো, করলে তো: অপ্রত্যাশিতের সম্বন্ধে বিস্ময়।
আবার ওকেই প্রশ্নের সুরে বদলিয়ে যদি বলা হয় ‘হল তো?’ তা হলে জানানো হয়: এখন তো আর কোনো নালিশ রইল না?
হোক-না, করুক-না, হোক্গে, করুক্গে, মরুক্গে: ঔদাসীন্য।
হলই-বা, করলই-বা, নাই-বা হল, না-হয় হল: স্পর্ধার ভাষা।
হবে-বা, হবেও-বা: দ্বিধা এবং স্বীকার মিশিয়ে।
হবেই হবে, করবেই করবে: সুনিশ্চিত প্রত্যাশা।
করতেই হবে, হতেই হবে, করাই চাই, হওয়াই চাই: ইচ্ছার জোর প্রয়োগ।
হলেই হল: অর্থাৎ হয় যদি তবে আর-কোনো তর্কের দরকার নেই।
হোকগে ছাই, মরুগকে ছাই: প্রবল ঔদাস্য।
২০
অব্যয়। বাংলা ভাষায় প্রশ্নসসূচক অব্যয় সম্বন্ধে পূর্বেই আলোচনা করেছি।
প্রশ্নসূচক ‘কি’ শব্দের অনুরূপ আর-একটি ‘কি’ আছে, তাকে দীর্ঘস্বর দিয়ে লেখাই কর্তব্য। এ অব্যয় নয়, এ সর্বনাম। এ তার প্রকৃত অর্থের প্রয়োজন সেরে মাঝে মাঝে খোঁচা দেবার কাজে লাগে, যেমন: কী তোমার ছিরি, কী-যে তোমার বুদ্ধি।