পাতা:বাংলার গীতি কবিতা - চিত্তরঞ্জন দাশ.pdf/১৫৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

>(28 বাঙ্গালার গীতি কবিতা ত্ৰিভুবন যে মায়ের মুক্তি-ইহা অনুভূতির বস্তু-ইহা সাক্ষাৎ দর্শন। রামমোহনে এই অনুভূতি ও দর্শন কেহ আশা করিবেন না । কেন না। তিনি রামপ্ৰসাদের সাধন পাথকে কুসংস্কার জ্ঞানে পরিত্যাগ করিয়াছেন। সুতরাং যে সাধন পথ তিনি পরিত্যাগ করিলেন, সে সাধনপথের কোন খবরসিদ্ধি ত দূরের কথা-ৰ্তাহার নিকট উন্মাদ ব্যতীত কে প্ৰত্যাশা করিবে ? এই জন্য রামপ্ৰসাদের কল্পকলার স্বাভাবিক পরিণতির গানগুলির সহিত রামমোহনের রামপ্ৰসাদ-অনুকারী গানগুলির বাহ্য সাদৃশ্য কোন সাদৃশ্যই নহে। “যে বিভু সর্বত্র থাকে”— ইহা জ্ঞান দ্বারা বুদ্ধি দ্বারা বিচার করিয়া একটা স্পষ্ট উক্তি মাত্র। কিন্তু ‘ওরে ত্ৰিভুবন যে মায়ের মূৰ্ত্তি”-ইহা অনুভূতি-ইহা দৰ্শন - ইহা কাব্যকাব্যের শ্রেষ্ঠ রূপান্তর। কাজেই আমি আবার আপনাদিগকে বলিতেছি “রামপ্ৰসাদ যে সুরে গাহিয়া গিয়াছেন- রামমোহন তার উল্টা সুর ধরিলেন।” ( . ) এইবার আমরা দেখিব, রামমোহনের ব্ৰহ্ম সঙ্গীত বাঙ্গালার প্ৰাণের স্বরূপ হইতে জন্মলাভ করিয়াছে কি না । যে ধারায় চণ্ডীদাসের কাব্য-সৃষ্টি পরিপূর্ণতা লাভ করিয়াছে --যে ধারায় রামপ্ৰসাদের কাব্য-সৃষ্টি কল্পকলার স্বাভাবিক পরিণতিতে গিয়া পৌছিয়াছে-বাঙ্গালার প্রাণের স্বরূপ হইতেই