পাতা:বাংলার গীতি কবিতা - চিত্তরঞ্জন দাশ.pdf/১৬০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

(bro বাঙ্গালার গীতি কবিতা সমালোচনার দিক হইতে বিচার করিলে অতি সহজেই লক্ষ্য করা যায়। আমি পূর্বে বলিয়াছি যে, রামমোহন কবি না হইয়াও কাব্য সৃষ্টিতে কেন হস্তক্ষেপ করিলেন। তাহার একমাত্র উত্তর ধৰ্ম্মসংস্কার । তিনি দেখিয়াছিলেন যে, বাঙ্গালা দেশে বৈষ্ণব সাধনার অনুরূপ কাব্য-সৃষ্টি হইয়াছে, গান হইয়াছে । শাক্ত সাধনার অনুরূপ। কাব্য সৃষ্টি হইয়াছে, গান হইয়াছে । এই দুই সাধনাই নাম জপ ও রূপ ধ্যানের সাধন । নাম ও রূপের মধ্য দিয়াই এই সাধনা মনুষ্যকে, বাঙ্গালীকে তাহার অভীষ্ট সিদ্ধির পথে যুগে যুগে লইয়া গিয়াছে। কিন্তু রামমোহনের নিগুণ নিরাকারের সাধনায় নাম রূপ গোড়াতেই পরিত্যাগ করিতে হয়। রামমোহনের ব্ৰহ্ম সাধনা বাঙ্গালার শাক্ত-বৈষ্ণবের সাধনার স্পষ্ট বিরুদ্ধ ও বিপরীত মার্গের সাধনা। অথচ যখন প্ৰত্যেক সাধনার অনুরূপ গান আছে কাজেই রামমোহন তঁাহার নিগুণ সাধনার অনুরূপ গান রচনায় হস্তক্ষেপ করিলেন । ১ । সে অতীত গুণত্ৰয় ইন্দ্ৰিয় বিষয় নয় রূপের প্রসঙ্গ তার কিরূপে সম্ভবে ২। নিরুপমের উপমা সীমাহীনে দিতে সীমা नाछि छद्म नख्छादन অচিন্ত্য উপাধি-হীনে অতিক্রান্ত গুণ তিনে যত সব অর্বাচিীনে করয়ে কল্পনা । বাঙ্গালীর সাধনায়, চণ্ডীদাস ও রামপ্ৰসাদের কল্পকলায়