পাতা:বাংলার গীতি কবিতা - চিত্তরঞ্জন দাশ.pdf/৩৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শাক্ত সাহিত্য ধারায়- রামপ্ৰসাদ v99 অভেদ হইয়া ভেদ প্ৰকাশিয়া একি করে চরাচরে । পাইয়াছে টের কি করে এ ফের কবি রায় গুণাকরে । কবি রায় গুণাকর বলিতেছেন যে, তিনি নিশ্চিত মনে টের পাইয়াছেন যে-ভব। আর ভবানী-অভেদাত্মা হইয়াই ভেদ প্ৰকাশ করিয়াছেন - গুণাতীত হইয়া ও নানা গুণ লইয়া, চেতন অচেতনে, স্থাবর জঙ্গমে, নরনারী কলেবরে,-সমস্ত জীবের অন্তরে,-উত্তম অধম নির্বিচারে,-সমগ্ৰ বিশ্ব চরাচরে-“দোহে নানা কেলি” করিতেছেন । এই বিশ্বসৃষ্টি শিব আর শক্তির কেলি প্রসূত। এই ‘কেলি’ শব্দটির ভিতরে যদি কোন সাহিত্যের ইতিহাস লেখক কোন কিছু গন্ধ পান। তবে আমরা নাচার। বাঙ্গালার বৈষ্ণব বলিয়াছেন রূপ দেখি আপনার, কৃষ্ণের হৈল চমৎকার আস্বদিতে মনে উঠে কাম কাজেই সমগ্ৰ বৈষ্ণব পদাবলী কামায়ন ! বাঙ্গালার শাক্ত বলিলেন যে, “মূলাধারে সহস্রারে বসিয়া মা আমার

  • ** * छ्१• •८

হংসীরূপে করে রমণ ।” কাজেই সমগ্ৰ শিব ও শ্যামা সঙ্গীত কামশাস্ত্ৰ ! শাক্ত ও বৈষ্ণব ছাড়িয়া, প্ৰকৃতির উপর পুরুষের বীক্ষণ, যদি দুরবীণ লইয়া নিরীক্ষণ করা যায়, তবে তাহাও বড় আশাপ্ৰদ মনে হইবে না ।