পাতা:বাংলার ব্রত - অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৩৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

\bR বাংলার ব্ৰত বিছিয়ে তার উপরে গুলি ক’টি রাখতে হয়। প্ৰত্যেক গুলিতে একটি করে সিঁদুরের ফোটা এবং পাচগাছি করে দুৰ্বাঘাস খুঁজে দিতে হয়। তার উপর নতুন আলোচলের তুষ ও কুঁড়ো ছড়িয়ে দিয়ে, সরসে শিম মুলো ইত্যাদির ফুল দিয়ে ছড়া বলা হয়। ব্ৰতের নাম এবং উপকরণগুলি থেকে স্পষ্টই বোঝা যাচ্ছে, এটি সারমাটি দিয়ে খেত উর্বর করে তোলার ব্ৰত। ব্ৰতের ছড়াগুলি পূর্ববঙ্গে এক, পশ্চিমবঙ্গে আর-এক হলেও ছড়াগুলি পড়তে পড়তে পল্লীগ্রামের সহজ জীবনযাত্রার এমন একটি পরিষ্কার ছবি মনে জাগিয়ে তোলে, যেটি কোনো শাস্ত্রীয় ব্ৰতে আমরা পাই না । পৌষমাসে এদেশে বেশ একটু শীত, এবং সকালবেলার ব্ৰত এট, কাজেই আমরা অনায়াসে কল্পনা করতে পারি, বহুযুগ আগেকার বাংলাদেশের একখানি গ্রামের উপর রাত্রির যবনিকা আস্তে সরে গেল ; সঙ্গে সঙ্গে আমরা দেখেছি শীতের হাওয়া বইছে-গ্রামের উপরে বড়ো গাছের আগায় এখনও কুয়াশা পাতলা চাদরের মতো লেগে রয়েছে ; শিশিরে সকালটি একটু ভিজে-ভিজে ; বেড়ার ধারে ধারে আর চালে চালে শিমপাতার সবুজ ; খেতে খেতে মুলোর ফুল, সরসের ফুল-দুধ আর হলুদের ফেনার মতো দেখা যাচ্ছে, নতুন সরায় বেগুনপাত চাপা দিয়ে, সারামাটি নিয়ে মেয়েরা দলে দলে তোষলা ব্রত করতে খেতের দিকে চলল এবং সেখানে মুলোর ফুল, শিমের ফুল, সরসের ফুল দিয়ে उदङ ख्ाद्वाएछ ठूल । প্ৰথম, তোষলার স্তুতি তুষ-তুষালি, তুমি কে। তোমার পূজা করে যে क्ष८ञ ८न वांछठ, সুখে থাকে আদি অন্ত । তোষলা লো তুষকুন্তি । ধনে ধানে গায়ে গুন্তি, चद्ध चgद्ध शांई बिटटि ।