পাতা:বাংলার ব্রত - অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৪২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

86" বাংলার ব্ৰত এই-সব ব্ৰতের মূলে কীসের প্রেরণা রয়েছে, বলা শক্ত। মানুষের ধর্ম প্ৰবৃত্তি না মানুষের শিল্পীসৃষ্টির বেদন থেকে জন্মলাভ করেছে এই ব্ৰতগুলি, সেটা পরিষ্কার করে দেখার পূর্বে ব্ৰতগুলির সঙ্গে পরিচয় আরও একটু ঘনিষ্ঠ করে নেওয়া দরকার । প্ৰথমে দেখি, কতকগুলি ব্ৰত যাতে কামনা এবং আলপনা ও ছড়া একটি অন্তকে অনুকরণ করে প্রকাশ পাচ্ছে। যেমন, কামনা হল সোনার চিরুনি, সোনার কোটো, আয়না, পালকি । সেখানে পিটুলির আলপনা দিয়ে একটা চিরুনি, একটা কোটো, পালকি একটা, আয়না একটা আঁকা হল এবং তাতে ফুল ধরে ধরে বলা হল আমরা পূজা করি পিঠালির চিরুনি, আমাগো হয় যেন সোনার চিরুনি । আমরা পূজা করি পিঠালির কুটুই, আমাগো হয় যেন সোনার কুটুই। আমরা পূজা করি পিঠালির পালকি, আমাগো হয় যেন সোনার পালকি । এখানে, চিরুনি-দেবতা কোটো দেবতা পালকি-দেবতা ইত্যাদিকে পূজা করে বর চাওয়া। একেবারে কাজের কথা, এবং যতটুকু কাজের কেবল ততBS BDB DBBD DDD BD SS DD BD BDBD BBB DDDu BDBBD কল্পনা করে বরপ্রার্থনা । আর-এক রকম, তাতে কামনার অনুরূপ ছড়া, কিন্তু আলপনাটি ভিন্নরূপ । মাদার গাছ একে বলা হচ্ছে আমরা পূজা করি চিত্রের মান্দার, আমাগো হয় যেন ধান চাউলের ভাণ্ডার । আমরা পূজা করি পিঠালির মান্দার, সোনায় রূপায় আমাগো ঘর আন্ধাৱ । মাদারগাছে সঙ্গে ধানচাল সোনা-রুপের পরিষ্কার যোগ নেই। অথচ