পাতা:বাংলার ব্রত - অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৭৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

बां२छांद्र बोट Ae) ঘায় তাতে করে দুয়েরই উৎপত্তি যে মানব-মনের একই প্ৰবৃত্তি থেকে, তাতে আর কোনো সন্দেহ থাকছে না। দুয়েরই মধ্যে দেখছি একটা জিনিস রয়েছে যা দুটোকেই চালাচ্ছে। সেটি হল কামনার আবেগ । যা কামনা হল তাই পেলেম তখনি, এ হলে ব্ৰত হল না । আবেগ থাকা চাইযেটা নানা ক্রিয়ার মধ্যে গতি পেয়ে পরিসমাপ্তি পাচ্ছে । এ হল ব্ৰতের মূল কথা । ব্ৰতগুলির মধ্যে এই আবেগটির অবসর কোনখানে রয়েছে দেখব। এটা বেশ দেখা যাচ্ছে যে, মানুষ যখনকার যা তখনকার জন্যে ব্রত করছে না । ভবিষ্যতের একটা-কিছু পাবার জন্যেই ব্ৰতগুলির অনুষ্ঠান হচ্ছে দেখি। - ‘গঙ্গা শুকুশুকু, আকাশে ছাই!” সেই সময় বর্ষার জলধারা কল্পনা করে বসুধারা ব্ৰতের অনুষ্ঠান। এই যে জ্যৈষ্ঠের সারা মাস আষাঢ়ের ছবি মনে জাগিয়ে মানুষ প্ৰতীক্ষা করছে, এটা বড়ো কম অবসর নয়। আবেগ ঘনীভূত হয়ে নানা শিল্পক্রিয়ায় প্রকাশ হবার জন্য। এমনি যখন খুব জল, আষাঢ় শ্রাবণ দুই মাস, তখন কুমারী ব্ৰত নেই। এর পরে ভাদ্র মাস পড়তেই শরতের দিনগুলির জন্যে ব্ৰত শুরু হল । শস্য হবে, যারা বাণিজ্যে গেছে। LBBt DBDBBJSiqDDD DDD DD BBD DB BDBB DBD DBBD DBB দেখা দিলে এবং আশ্বিনের শস্য-উৎসবে তার পরিসমাপ্তি হল । এমনি প্ৰায় প্রত্যেক ব্ৰতেই দেখি, কামনা অনেকদিন পৰ্যন্ত-কোথাও এক মাস, কোথাও বা দু মাস-অতৃপ্ত থাকছে চরিতার্থতার পূর্বে । শস্য ফলবার আগেই শস্য-উদগমের ব্ৰত আরম্ভ হল এবং শস্যের প্রকৃত উদগমের ও কামনার মাঝের দিনগুলো মনের আবেগে নানা কল্পনায় নানা ক্রিয়ায় ভরে উঠে নাট্য, নৃত্য, আলেখ্য এমনি-সব নানা শিল্পের জন্ম দিতে লাগল। চিত্র করতে হলে বড়ো শিল্পী তো যেমন দেখলেন তেমনিটি আঁকলেন না । দেখলেন, দেখে সেটা মনে রাখলেন, এবং হয়তো দেখার থেকে অনেক পরে সেটাকে মন থেকে প্ৰকাশ করে দিলেন ; দেখা ও প্ৰকাশ করার মাঝে যে-সময়টা সেই হল যথার্থ শিল্প-কাজের অনুকূল। দেখলেম, কল টিপলেম, ফোটো উঠল, এ হলে