পাতা:বাংলা শব্দতত্ত্ব - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১৪৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

छांबांब्र हेक्रिड 为总● পড়িয়া থাকিলে তাহার চলে না ; তাই সে নিজের বর্ণনার ভাষা নিজে বানাইয়া লইয়াছে, তাই তাহাকে কখনো সঁা করিয়া, কখনো গৰ্টুগষ্ট করিয়া কখনো খুটুস খুটুল করিয়া, কখনো নড়বড় করিতে করিতে, কখনো স্বড় স্বত্ব, করিয়া, কখনো থপ, থপ, এবং কখনো থপাল থপাস করিয়া চলিতে হয় । *Cafu efol laugh, smile, grin, simper, chukle of al staffs আনন্দ কৌতুক ও বিন্দ্রপ প্রকাশ করে ; বাংলা ভাষা খলখল করিয়া, খিলখিল করিয়া, হোহো করিয়া, হিহি করিয়া, ফিক ফিক্‌ করিয়া, ফিকৃ করিয়া এবং মুচ কিয়া হাসে। মুচকে হাসির জন্ত বাংলা অমরকোষের কাছে ঋণী নহে। মচ কান শব্দের অর্থ বাকানো, বাকাইতে গেলে যে মচ, করিয়া ধ্বনি হয় সেই ধ্বনি হইতে এই কথার উৎপত্তি। উহাতে হাসিকে ওষ্ঠাধরের মধ্যে চাপিয়া মচকাইয়। রাখিলে তাহ মুচকে হাসিরূপে একটু বাকাভাবে বিরাজ করে। বাংলা ভাষার এই শব্দগুলি প্রায়ই জোড়াশব্দ । এগুলি জোড়াশব্দ হইবার কারণ আছে। জোড়াশব্দে একটা কালব্যাপকত্বের ভাব আছে। ধুধু করিতেছে ধবধব করিতেছে, বলিতে অনেকক্ষণ ধরিয়া একটা ক্রিয়ার ব্যাপকত্ব বোঝায়। যেখানে ক্ষণিকতা বোঝায় সেখানে জোড়া কথার চল নাই ; যেমন, ধ" করিয়া, সঁ করিয়া ইত্যাদি। যখন ধ। ধা, সঁ। সঁ, বলা যায় তখন ক্রিয়ার পুনরাবর্তন বুঝায়। ‘এ’ প্রত্যয় ষোগ করিয়া এই-জাতীয় শব্দগুলি হইতে বিশেষণ তৈরি হইয়া থাকে ; যেমন, ধবধবে টক্‌টকে ইত্যাদি। টকটক ঠকঠক প্রভৃতি কয়েকটি ধ্বস্তাত্মক শব্দের মাঝখানে আকার যোগ করিয়া উহারই মধ্যে একটুখানি অর্থের বিশেষত্ব ঘটানো হইয়া থাকে ; যেমন, কচকচ কটাকট কড়াক্কড় কপাকপ খচখচ খটখট খপাখপ গপাগপ ঝনাজ ঝন টকাটক টপাটপ ঠকাঠক ধড়াধবড় ধপাধপ, ধমাধ্যম, পটাপট, ফসফিস । কপকপ এবং কপাকপ, ফসফস এবং ফসফিস, টপটপ এবং টপাটপ শবের মধ্যে কেবলমাত্র আকারযোগে অর্থের ষে স্বল্প বৈলক্ষণ্য হইয়াছে, তাহা কোনো বিদেশীকে অর্থবিশিষ্ট ভাষার সাহায্যে বোঝানো শক্ত। ঠকাঠক বলিলে এই বুৰায় যে, একবার ঠক করিয়া তাহার পরে বলসঞ্চয়পূর্বক পুনর্বার দ্বিতীয়বার ঠক করা ; মাঝখানের সেই উদ্যত অবস্থার যতিটুকু জাকারযোগে আপনাকে প্রকাশ করে। এইরূপে বাংলা ভাষা যেন অ আ ই উ স্বরবর্ণ