পাতা:বাংলা শব্দতত্ত্ব - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২৪৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
বংলা কথ্যভাষা
২২৫

আমি কোরছিলুম (কোরছিলেম) তুই কোরছিলি

তুমি কোরেছিলে  সে কোরেছিল

আপনি কোরছিলেন তিনি কোরেছিলেন

 আমি কোরতুম (কোরতেম) তুই কোরতিস

 তুমি কোরত সে কোরত

 আপনি কোরতেন তিনি কোরতেন

করা যাক্‌  তুমি করো তুই কর  তিনি কোরুন

করা হোক্‌ আপনি করুন  সে করুক

 আমি কোরব তুই কোরবি

 তুমি কোরবে সে কোরবে

 আপনি কোরবেন  তিনি কোরবেন

 করা হয়, করা যায়, কোরে থাকে, কোরতে থাকে, করা চাই, কোরতে হবে, কোরলোই বা (কোরলেই বা), নাই কোরলো (নাই কোরলে), কোরলেও হয়, কোরলেই হয়, কোরলেই হোলো, করানো, কোরে কোরে, কোরতে কোরতে।

 হোয়ে পড়া, হোয়ে ওঠা, হোয়ে যাওয়া, কোরে ফেলা, কোরে ওঠা, কোরে তোলা, কোরে বসা, কোরে দেওয়া, কোরে নেওয়া, কোরে যাওয়া, করানো।

 কেঁদে ওঠা, হেসে ওঠা, বোলে ওঠা, চেঁচিয়ে ওঠা, আঁৎকে ওঠা, ফস্‌কে যাওয়া, এড়িয়ে যাওয়া, চম্‌কে যাওয়া, হারিয়ে যাওয়া, সেরে যাওয়া, সোরে যাওয়া, মোরে যাওয়া।


কর্তৃকারক

 একবচন—রাম হাসে, বাঘে মানুষ খায়, ঘোড়ায় লাথি মারে, গোরুতে ধান খায়।

 এইখানে একটা কথা পরিষ্কার করা দরকার। ‘রাম হাসে’ এই বাক্যে ‘রাম’ শব্দ কর্তৃকারক সন্দেহ নাই। কিন্তু ‘বাঘে মানুষ খায়’, ‘ঘোড়ায় লাথি মারে’, ‘গোরুতে ধান খায়’, বাক্যে ‘বাঘে’ ‘ঘোড়ায়’ ‘গোরুতে’ শব্দগুলি কর্তৃকারক এবং করণকারকের খিচুড়ি। ‘বাছুরে জন্মায় বা বাছুরে মরে’ এমন বাক্য বৈধ নহে, ‘বাছুরে তাকে চেটেচে’, চলে—অর্থাৎ এরূপ স্থলে কর্তার সঙ্গে কর্ম চাই।

১৫