পাতা:বাংলা শব্দতত্ত্ব - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৪৪১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8 × 8. বাংলা শকতিত্ব জাতীয় সাহিত্য সাধনা। আষাঢ় ১৩১২ ৷ নামের পদবী বিচিত্র । শ্রাবণ ১৩৩৮ সংযোজন : ২ [ হরপ্রসাদ শাস্ত্রী ] পরিশিষ্ট্র প্রাচীন-কাব্য-সংগ্ৰহ ভারতী । শ্রাবণ, ভাজ, কাতিক ১২৮৮ +বাংলা ক্রিয়াপদের তালিকা- ס\ צo ש" ০ শব্দচয়ন ১২ সাহিত্যপরিষৎ-পত্রিক | थॉसुम >७७७ وك - د শব্দতত্ত্বের চর্চায় রবীন্দ্রনাথের আগ্রহ যে যৌবনকালেই সুচিত হইয়াছিল এবং শেষজীবন পর্যন্ত অক্ষুন্ন ছিল এই সূচী হইতে তাহ পাঠকের লক্ষ্যগোচর হুইবে । ‘প্রাচীনকাব্য সংগ্রহ’ ( ১২৮৮) প্রবন্ধ প্রসঙ্গে দেখা যায়, একান্ত তরুণ বয়সেই এ বিষয়ে তাহার আগ্রহের উন্মেষ হইয়াছিল । -- জীবনস্মৃতিতে “লোকেন পালিত” অধ্যায়ে তিনি লিথিয়াছেন যে, প্রথমবার বিলাতপ্রবাসকালেও ( ১৮৭৮-৮০ ) এ বিষয়ে তিনি চর্চা করিয়াছেন। লণ্ডন য়ুনিভার্সিটি কলেজে লোকেন্দ্রনাথ পালিতের সহিত অধ্যয়নকালে “আমাদের অন্যান্ত আলোচনার মধ্যে বাংলা শবতত্ত্বের একটা আলোচনা ছিল । তাহার উৎপত্তির কারণটা এই । ডাক্তার স্কটের একটি কন্যা অামার কাছে বাংলা শিখিবার জন্ত উৎসাহ প্রকাশ করিয়াছিলেন । র্তাহাকে বাংলা বর্ণমালা শিখাইবার সময় গর্ব করিয়া বলিয়াছিলাম যে, আমাদের ভাষায় বানানের মধ্যে একটা ধৰ্মজ্ঞান আছে, পদে পদে নিয়ম লঙ্ঘন করাই তাহার নিয়ম নহে। তাহাকে জানাইয়াছিলাম, ইংরেজি বানামরীতির অসংযম নিতান্তই হাস্যকর, কেরল তাহা মুখস্থ করিয়া আমাদের পরীক্ষা দিতে হয় বলিয়াই সেটা এমন শোকাবহ। কিন্তু আমার গর্ব টিকিল না। দেখিলাম, বাংলা বানানও বাধন মানে না ; তাহা যে ক্ষণে ক্ষণে নিয়ম ডিঙাইয়। চলে অভ্যাসবশত এতদিন তাহা লক্ষ্য করি নাই । তখন এই নিয়ম-ব্যতিক্রমের ১, বঙ্গীয়-সাহিত্য-পরিষৎ কর্তৃক পুস্তিকাকারে প্রকাশিত হয়। । ২. বঙ্গীর-সাহিত্য-পরিষদের বিশেষ অধিবেশনে (২৫ মাঘ ১৩৩৬) পঠিত ।