পাতা:বাংলা শব্দতত্ত্ব - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৪৪৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গ্রন্থপরিচয় 8 » ጫ দীনেশচন্দ্রবাবুর গ্রন্থ অবলম্বন করিয়া বাংলা ভাষাতত্ত্ব বিস্তৃতভাবে আলোচনা করিবার ইচ্ছা রহিল ।” প্রসঙ্গত উল্লেখযোগ্য যে "বঙ্গভাষা ও সাহিত্য’ দ্বিতীয় সংস্করণের যে সমালোচনা রবীন্দ্রনাথ করিয়াছিলেন তাহ সাহিত্য গ্রন্থে “বঙ্গভাষা ও সাহিত্য* নামে অস্তভুক্ত । ১৩১৫ ও ১৩৪২ সংস্করণে “বাংলা বহুবচন” ও “বাংলা কৃৎ ও তদ্ধিত” প্রবন্ধ দুইটির মুদ্রিত পাঠের স্থলে সাময়িক পত্র হইতে পূর্ণতর পাঠ রবীন্দ্র-রচনাবলীতে গৃহীত হইয়াছিল। বর্তমান সংস্করণে রচনাবলীর পাঠই অকুস্থত হইয়াছে। সাহিত্য-পরিষৎ-পত্রিকার সপ্তম ভাগ প্রথম সংখ্যায় রবীন্দ্রনাথের ‘বাংলা শব্দদ্বৈত প্রকাশিত হইবার পর সপ্তম ভাগ তৃতীয় সংখ্যায় ললিতকুমার বন্দোপাধ্যায়ের ‘ভাষাতত্ত্ব’ প্রবন্ধ প্রকাশিত হয় । ঐ প্রবন্ধে এই শ্রেণীর আরো প্রায় দুই শত শব্দ সম্পাদক-কর্তৃক পর্যায়-বদ্ধ হইয়া প্রকাশিত হয়। সম্পাদক মহাশয় উল্লেখ করেন, “রবীন্দ্রবাবুর প্রসঙ্গে ‘জল-টল’, ‘ঘর-টর’ ‘ছাত-টাত।’ প্রভৃতি যে-সকল শব্দযুগের উল্লেখ আছে, বর্তমান প্রবন্ধের লেখক সেগুলিকে এই তালিকায় স্থান দেন নাই। কিন্তু দেখিতে গেলে ঐ শ্রেণীর শব্দযুগের সহিত এই শ্রেণীর শব্দযুগের মৌলিক প্রভেদ বড় একটা নাই।” এই জাতীয় আরো ‘প্রায় চারি শত শব্দের এবং উদাহরণ স্বরূপ কয়েকটি প্রবচনের তালিকা’ পরিষৎ-পত্রিকার অষ্টম ভাগ প্রথম সংখ্যায় জ্ঞানেন্দ্রমোহন দাস -কৃত ‘বাঙ্গালা শব্দ-তত্ত্ব’ প্রবন্ধে সংকলিত হয় । বাংলা শব্দদ্বৈতে’র দৃষ্টাস্তে উৎসাহিত আরো দুইটি প্রবন্ধ উল্লেখযোগ্য। প্রদীপ ১৩০৭ সনের ফাঙ্কন সংখ্যায় ‘বাঙ্গল শব্দ-দ্বৈতে'র (পৃ. ১০৪-১৭৯ ) সূচনায় লেখক শ্ৰীনিবাস বন্দ্যোপাধ্যায় উল্লেখ করেন— “বর্তমান সনের প্রথম সংখ্যক ‘সাহিত্য-পরিষৎ-পত্রিকা’য় শ্ৰীযুক্ত বাবু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর মহাশয় বঙ্গভাষার শব্দদ্বৈত সম্বন্ধে একটি সারগর্ভ প্রবন্ধ লিখিয়াছেন । সাধারণতঃ এ ধরণের প্রবন্ধ একজনের চেষ্টায় নিখুত হওয়া প্রায় অসম্ভব। তথাপি রবিবাবুর সর্বতোমুখী প্রতিভার স্পর্শে সেই অসম্ভবও সম্ভবপ্রায় হইয়াছে। প্রবন্ধের যে স্থলে সামান্য ক্রট আছে বলিয়া আমাদের বোধ হইয়াছে, এখানে সংক্ষেপে তাহারই আলোচনা করিব।” “এই সমালোচনা পাঠ করিয়া-•• মনে ষে কয়েকটি কথার উদয় হইল, তাহা” লিপিবদ্ধ করেন বিহারীলাল গোস্বামী 있업