পাতা:বাংলা শব্দতত্ত্ব - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৪৫২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গ্রন্থপরিচয় 8戈● তাহাই হউক, আর অন্তরূপই হউক, তাহাতে বড়ো ক্ষতিবৃদ্ধি নাই। তাহা আলোচনার মুখে স্থির হইবে। ১৩১১ সালে পরিষদের প্রথম বিশেষ অধিবেশনে ( ১৪ জ্যৈষ্ঠ ) রবীন্দ্রনাথ কর্তৃক ‘ভাষায় ইঞ্জিত’ প্রবন্ধটি পাঠের পর যে-আলোচনা হয় তাহাতে সভায় উপস্থিত ব্যক্তিগণের মধ্যে সতীশচন্দ্র বিদ্যাভূষণ ১, গুরুদাস বন্দ্যোপাধ্যায়ং ও ১. বাংলাভাষার গতিনির্দেশ ও লক্ষকারীদিগের দুই দল। এক দলের নেতা রবীন্দ্রবাৰু। সামাষ্ঠ হইতে উচ্চশ্রেণীর লোকে কথাবার্তার ভাষায় যে-সকল শব্দ ব্যবহার করে, সেগুলি লেখার ভাষায় আমরা ব্যবহার করি না। তৎপরিবর্তে অস্ত শব্দ স্বষ্টি করিয়া যদি ব্যবহার করি— তাহ হইলে ভাষার জীবনীশক্তি থাকে না । কথিত ভাষার শব্দের শক্তি ও মাধুর্য রবীপ্রবাবু দ্বারা প্রকাশিত হইতেছে, তিনি তাহ অমুভব করিয়াছেন । র্তাহার "ধ্বস্তাত্মক শব্দ’ প্রভূতি প্রবন্ধ ইহারই ফল । এ-সকল চলিত কথার শব্দ প্রদেশভেদে বিভিন্ন ভাবে বিভিন্ন অর্থেও ব্যবহৃত হয় । ধ্বস্তাত্মক শব্দ পরিবর্তনশীল । সংস্কৃতসাহিত্যেও অল্পসংখ্যক ধ্বস্তাত্মক শব্দ দেখা যায় । এইসকল ধ্বস্তাত্মক শব্দ সাহিত্যে ব্যবহার করা বড়ো কঠিন । ধ্বস্তাত্মক শব্দগুলি জীৰিত শব্দ । সেগুলিকে রবীপ্রবাবুর কথিত নিয়মাদি দ্বারা শ্রেণীবদ্ধ করিয়া ব্যাকরণের আবরণ দিয়া পাঠ করিতে গেলে, ठाशोप्लग्न भाथूर्व मष्ट श्हेप्त बनिद्रा भएन श्ञ । 4-यूशव्र मक प्रश्छ मरथुशैठ श्डेक, क्रुि नाश्प्डिा তাহাদের বহুল ব্যবহার প্রার্থনীয় নহে – সতীশচন্দ্র বিদ্যাভূষণ । . আমিও রবীন্দ্রবাবুকে তাহার এই অপূর্ব গবেষণামূলক প্রবন্ধের জন্ত আন্তরিক ধন্তবাদ জানাইতেছি । অtপনারা জোড়াতাড়া দিয়া লউন । ভাষার ইঙ্গিত সকল বিষয়েই আছে । ভাষাতত্ত্ববিদেরা বলেন, এইসকল ধ্বস্তাত্মক শব্দ দ্বিবিধ, এক দল বলেন জন্তু ধ্বনি হইতে, অপর দল «tata xßj«Rf <èvvs èswi: 1 äattw3 è<t<fèi ata Bow-ow Theory s Pugh-Pugh Theory। রবীন্দ্রবাবু লব্ধপ্রতিষ্ঠ কবি আর জগদীশবাবু লব্ধপ্রতিষ্ঠ বৈজ্ঞানিক । জগদীশবাবু বলেন, এমন অনেক রঙ আছে যাহা এ-চোখে দেখা যায় না— এ-চোখের ততটা বোধশক্তি নাই। শক্তির বৃদ্ধি হইলে আবার এই চোখেই দেখা যায়। অব্যক্ত ধ্বনির শব্দগুলির রহস্তবোধ সেইরূপ সকলের কানে হয় না। যে-কানের বোধশক্তি বর্ধিত সে কানে হয়, কবি রবীন্দ্রৰাবুর তাহ হইয়াছে। বিদ্যাভূষণ মহাশয় উহাদের ক্ষণভঙ্গুর বলিয়া মনে করেন । যদিই তাহ হয় তবে একটাদুইটা হইতে পারে, কিন্তু তাহাদের দল সমস্তই নহে। বিদ্যাভূষণ মহাশয় উহাদের বহুল ব্যবহার ইচ্ছা করেন না। তিনি না করিলেও লিখিত ভাষায় উহাদের প্রয়োজন আছে । নাটকে তাহার যথেষ্ট উদাহরণ দেখা যায়। অপণ্ডিত ব্যক্তির কথোপকখন লিপিবদ্ধ করিতে হইলে উহাজের প্রয়োজন । এইসকল শব্দ এত ছোটো যে, দু-একজন সহৃদয় কৰি ইহাদের স্বরূপ দেখিতে চাহেন না। রবিবাবু একজন বৈজ্ঞানিক কবি । তিনি ইহাদের স্বরূপ যেভাবে দেখাইয়াছেন, তাহতে উহাদের আর ছোটোৰ নাই। তবে রবীজবাবু বড়ো নজরে উহাদিগকে যতই ছোটাে দেখুন,