পাতা:বাংলা শব্দতত্ত্ব - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৪৫৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Ց ՀԵ বাংলা শব্দতত্ত্ব বাংলা ব্যাকরণে তির্যকরূপ প্রবন্ধটি প্রবাসীতে প্রকাশিত হইবার পর এইপ্রসঙ্গে পরবর্তী কয়েকমাসের প্রবাসীতে আলোচনা চলে। সতীশচন্দ্র বন্ধ শ্রাবণ ংখ্যায় (পৃ. ৩৭৬-৭৭ ) রবীন্দ্রনাথের প্রবন্ধের সমালোচনা করেন। ভাত্র সংখ্যায় (পৃ. ৪৫৮-৬১)যোগেশচন্দ্র রায়-এর ‘বাঙ্গাল ব্যাকরণে বিচাৰ্য্য প্রবন্ধে রবীন্দ্রনাথের প্রবন্ধের আলোচনা আছে। রবীন্দ্রনাথ তাহার ‘বাংলা ব্যাকরণে বিশেষ বিশেষ্য’ প্রবন্ধের পাদটীকায় সতীশচন্দ্র বস্থর সমালোচনার উল্লেখ করেন। তত্ত্ববোধিনী পত্রিকায় ( বৈশাখ ১৮৩৩ শক ) “আশ্রম সংবাদ / শাস্তিনিকেতন’ শিরোনামে মুদ্রিত একটি সংবাদে জানা যায় যে “প্রবদ্ধপাঠসভা’ নামে একটি সমিতি গত ফাল্গুন মাসে স্থাপিত হইয়াছে। এই সমিতিতে বিশেষজ্ঞদের লিখিত প্রবন্ধ পঠিত ও আলোচিত হইয়া থাকে।... এই সভার সভাপতি শ্ৰীযুক্ত রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর মহাশয়ের লিখিত ‘বাংলা বিশেষ পদের একবচন’ নামক একটি প্রবন্ধ ৪ঠা চৈত্র তারিখে পঠিত ও আলোচিত হইয়াছিল।” ইহাই প্রবাসী ১৩১৮ ভাদ্র সংখ্যায় মুদ্রিত বাংলা ব্যাকরণে বিশেষ বিশেষ’ বলিয়া অনুমিত ।

  • “বাংলা ব্যাকরণে বিশেষ বিশেষ্য” পাঠ করিয়া যে কয়টি কথা আমার মনে উদিত হইয়াছে’ বসন্তকুমার চট্টোপাধ্যায় প্রবাসী ১৩১৮ আশ্বিন সংখ্যায় *আলোচনা’ পর্যায়ে ‘বাঙ্গালা ব্যাকরণ সম্বন্ধে কয়েকটি কথা’ নামে ‘প্রবাসীর পাঠকগণও সন্দর্ভকারের নিকট’ নিবেদন করেন ।

প্রবাসী পত্রিকায় ( আশ্বিন ১৩১৮ ) প্রকাশিত ‘বাংলা নির্দেশক’ প্রবন্ধের নীচে যে ‘নোট’ মুদ্রিত ছিল তাহা এখানে উদ্ভূত হইল : “বাংলা ব্যাকরণে তিৰ্য্যকৃরূপ নামক প্রবন্ধে কর্তৃকারকে একার প্রয়োগ লইয়া আলোচনা করিয়াছিলাম। শ্ৰীযুক্ত যোগেশচন্দ্র রায় বিদ্যানিধি মহাশয় সে সম্বন্ধে তাহার মন্তব্য প্রকাশ করিয়া আমাকে উপকৃত করিয়াছেন । নিয়মের সূত্রটাকে বাধিয়া তুলিতে আমার গোল ঠেকিতেছিল সে আমি নিজেই অনুভব করিয়াছি। বস্তুভ বাংলা ব্যাকরণ সম্বন্ধে যে আলোচনায় প্রবৃত্ত হইয়াছি তাহার পদে পদেই আমার মনে দ্বিধা আছে। অতএব এ বিষয়ে বিদ্যানিণি মহাশয় আমাকে আমুকুল্যপ্রার্থ জানিয়া আমার সন্দেহভঞ্জন করিবেন। তাহার মতে স্থত্রটি এই – যেখানে কর্তৃপদে জাতির বা সামান্তের ধৰ্ম্মপ্রকাশ উদ্দেশ্য হয় সেখানে কর্তৃপদে একার আসে । 聯 蝎 তাহা হইলে জিজ্ঞাস্ত এই যে “ঠেলা দিলে টেবিল উন্টে পড়ে” না বলিয়া