পাতা:বাংলা শব্দতত্ত্ব - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৪৬২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গ্রন্থপরিচয় HOA “বাদানুবাদ ২’ নামে গ্রথিত । প্রসঙ্গত উল্লেখযোগ্য যে “বাদামুবাদ ২’-এ রবীন্দ্রনাথ ‘কবিরাজ মহাশয়ের নির্দেশমত’ সে সংশোধনে স্বীকৃত হইয়াছিলেন, বর্তমান গ্রন্থে ‘বাংলা কথ্যভাষা [ ১ ]' প্রবন্ধটিতে তাহ সন্নিবিষ্ট করা হয় নাই । সাময়িক পত্রে স্বেরূপ প্রকাশিত হইয়াছিল তাহাই মূদ্রিত হইয়াছে। শব্দতত্ত্বের একটি তর্ক ॥ প্রবাসীতে প্রকাশিত এই প্রবন্ধের সূত্রে ঐআশুতোষ ভট্টাচার্য ও ঐবিজনবিহারী ভট্টাচার্য যে মন্তব্য করেন তাহ প্রবাসীর ফাত্তন-সংখ্যায় (পৃ. ৭১১-১৩) প্রকাশিত হয়। বাংলার বানান সমস্ত ॥ চলিত ভাষার বানান সম্বন্ধে স্বনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়ের যে-প্রসঙ্গ আছে তাহার উল্লেখ ক্রমণীন্দ্রকুমার ঘোষকে লিখিত এই পত্রেও দেখা যায়— চলতি বাংলার বানান সম্বন্ধে প্রশাস্ত বিধান নিয়েছিলেন স্বনীতির কাছ থেকে । নিয়মগুলো মনে রাখতে পারি নে, অন্তমনস্ক হয়ে হাজারবার লঙ্ঘন করি। সেইজন্যে অসঙ্গতি সৰ্ব্বদাই দেখা যায়। ষে হেতু বাংলা অক্ষরে বিদেশী কথা সৰ্ব্বদাই লিখতে হচ্চে সেইজন্যে অনেক নূতন ধ্বনির জন্তে নূতন অক্ষর রচনা করা আবশ্বক— আমাদের মনটা অত্যন্ত সাবেক কেলে বলে শীঘ্র এর কোনো কিনারা হবে বলে বোধ হয় না। প্রাকৃত বাংলার প্রভাব বাংলা সাহিত্যে বেড়ে চলেচে কিন্তু ভাষার এই যুগাস্তরের সময় হাওয়াটা এলোমেলে। ভাবেই বইচে । এ সময়কার কর্ণধারের কাজ স্থনীতির নেওয়া উচিত— আমার বয়স হয়ে গেছে । প্রাকৃত বানানের বিধিবিধান মনে রেখে প্রাফ সংশোধনের দায়িত্ব নেওয়া আমার পক্ষে অসম্ভব বলেই অন্তদের হাতে সে ভার পড়েচে– সেই অন্যরাও নানাবিধ মানুষের মধ্যে বিভক্ত সেই কারণেই উচ্ছম্বলতার অন্ত নেই। ইতি ১৯ ভাদ্র ১৩৩৮ | ‘কেবল প্রাকৃত বাংলার অভিধান’ই নয়, ‘নৃতন অক্ষর রচনা সম্বন্ধেও তিনি স্থনীতিকুমারের মত ‘প্রত্যাশা করিয়াছিলেন — ১৩৩৪ সালের ৯ অগ্রহায়ণ তারিখে তিনি স্থনীতিকুমারকে লেখেন : “নৃতন অক্ষর রচনা সম্বন্ধে যে আলোচনা হয়েছিল সেটাকে কাজে খাটাবার সময় এল। বিচিত্র। সম্পাদক তোমার নির্দেশ অনুসারে অক্ষয় ঢালাই করতে রাজি আছেন এবং তুমি সে বিষয়ে ব্যাখ্যা করে যদি কিছু লেখ তারা সেটাকে