পাতা:বাংলা শব্দতত্ত্ব - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর -দ্বিতীয় সংস্করণ.pdf/১০২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শব্দতত্ত্ব میbول\ হয় না । এবং মহষ্য সংখ্যাবাচক “একজন” “দুইজন” ব্যতীত পশু বা জড়সংখ্যাবাচক “একটা” “দুইটা”র সহিত “কার” শব্দের সম্পর্ক নাই । অবস্থানবাচক যে সকল শব্দে “কার” প্রত্যয় হয় তাহার অধিকাংশই বিশেষণ। যথা –উপর, নিচ, সমুখ, পিছন, আগা, গোড়া, মধ্য, ধার, তল, দক্ষিণ, উত্তর, ভিতর ও বাহির ইত্যাদি । বিশেষ্যের মধ্যে কেবল “খান” ( স্থান ) “পার” ও “ধার” শব্দ । এই তিনটি বিশেষ্যের বিশেষ ধৰ্ম্ম এই যে, ইহাদের পূৰ্ব্বে “এ” “সে” প্রভৃতি বিশেষার্থবোধক সৰ্ব্বনাম যুক্ত না হইলে ইহাদের উত্তরে “কার” প্রত্যয় হয় না । যথা সেখানকার, এপারকার, ওধারকার । কিন্তু ভিতরকার, বাহিরকার প্রভৃতি শব্দে সে কথা খাটে না । সময়বাচক যে সকল শব্দের উত্তর “কার” প্রত্যয় হয়, তাহার অধিকাংশই বিশেষ্য। যথা –দিন, রাত্রি, ক্ষণ, বেলা, বার, বছর, হগু ইত্যাদি । এইরূপ সময়বাচক বিশেষ্য শব্দের “এ” সে* প্রভৃতি সৰ্ব্বনাম বিশেষণ না থাকিলে তদুত্তরে “কার” প্রয়োগ হয় না । শুদ্ধমাত্র, বারকার, বেলাকার ক্ষণকার হয় না, এবেলাকার এখানকার, এক্ষণকার এবারকার হয় । বিশেষণ শব্দে অন্তরূপ ৷ সময়বাচক বিশেষ্য শব্দ সম্বন্ধে অনেকগুলি ব্যতিক্রম দেখা যায়। “মাস,” “মুহূৰ্ত্ত,” “দও,” “ঘণ্টা” প্রভৃতি শব্দের সহিত “কার” শব্দের যোগ হয় না । ইহার কারণ নিৰ্দ্ধারণ সুকঠিন । যাহা হউক দেশসম্বন্ধে একটা মোট নিয়ম পাওয়া যায় । দেশবাচক যে সকল শব্দে সংস্কৃতে “বৰ্ত্তী” শব্দ হইতে পারে বাংলায়