পাতা:বাংলা শব্দতত্ত্ব - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর -দ্বিতীয় সংস্করণ.pdf/১২২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

brèyo শব্দতত্ত্ব সময় শব্দের একবচন ও বহুবচন রূপ লক্ষিত হয়। যথা ঘোড়েকে, একটি ঘোড়াকে, ঘোড়োকো, অনেক ঘোড়াকে । ঘোড়ে একবচনরূপ এবং ঘোড়ে বহুবচনরাপ । পূৰ্ব্বে একস্থলে উল্লেখ করিয়াছি যে প্রাকৃত একবচন ষষ্ঠীবিভক্তিচিহ্ন হে, হি স্থলে বাংলায় একার দেখা যায়, যথা অপভ্রংশ প্রাকৃত ঘরহে, বাংলায় ঘরে । হিন্দীতেও এইরূপ ঘটে । ঘোড়ে শব্দ তাহার नृहेख् । 疆 প্রাকৃতের প্রথা অনুসারে প্রথমে গৌড়ীয় ভাষায় বিভক্তির মধ্যে ষষ্ঠীবিভক্তিচিহ্নই একমাত্র অবশিষ্ট ছিল অবশেষে ভাবপরিস্ফুটনের জন্য সেই ষষ্ঠ বিভক্তির সহিত সংলগ্ন করিয়া ভিন্ন ভিন্ন কারকজাপক শব্দযোজন। প্রবর্তিত হইল । বাংলায় এই নিয়মের লক্ষণ একেবারে নাই তাহা নহে । হাতর না বলিয়া বাংলায় হাতের বলে, ভাইর না বলিয়া ভাইয়ের বলে, মুখতে না বলিয়া মুখেতে এবং বিকল্পে পাতে এবং পায়েতে। বলা হইয়া থাকে । প্রথমে হাতে, ভাইয়ে, মুখে, পায়ে, রূপ করিয়া তাহাতে র তে প্রভৃতি বিশেষ বিভক্তি যোগ হইয়াছে । পূর্বেই বলা হইয়াছে এই একার প্রাকৃত একবচন ষষ্ঠীবাচক হি হের অপভ্রংশ । আমাদের বিশ্বাস বহুবচনেও বাংলা এক সময়ে হিন্দীর অনুযায়ী ছিল এবং সংস্কৃত ষষ্ঠী বহুবচনের আনাং বিভক্তি যেখানে হিন্দিতে সংক্ষিপ্ত সামুনাসিকে পরিবর্তিত হইয়াছে বাংলায় তাহা,