পাতা:বাংলা শব্দতত্ত্ব - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর -দ্বিতীয় সংস্করণ.pdf/১২৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

:Se भक उखु জীবন্দের = জীবদের, এরূপ রূপান্তরপর্য্যায়ে উক্ত একারের স্থান কোথাও দেখি না । মেওয়ারি কাব্যে ষষ্ঠী বিভক্তির একটি প্রাচীন রূপ দেখা যায়, হংদো । কাশ্মীরিতে ষষ্ঠী বিভক্তির বহুবচন হিংদ । জনহিংদ বলিতে লোকদিগের বুঝায়। বীম সাহেবের মতে এই হংদে৷ ভূধাতুর ভবন্ত হইতে উৎপন্ন। যেমন কৃত এক প্রকারের সম্বন্ধ তেমনি ভূত আর একপ্রকারের সম্বন্ধ । যদি ধরিয়া লওয়া যায় “জন হিন্দকের” “জনহিন্দের” শব্দের এক-পৰ্য্যায়গত শব্দ জনদিগের জনেদের, তাহা হইলে নিয়মে বাধে না। “ঘরহি” স্থলে যদি “ঘরে” হয় তবে “জনহি” স্থলে “জনে” হওয়া অসঙ্গত নহে। বাংলার প্রতিবেশী আসামী ভাষায় *হঁত” শব্দ বহুবচনবাচক । মানুহহঁত অর্থে মানুষগণ বুঝায়। হঁত এবং হংদ শব্দের সাদৃশু আছে। কিন্তু হংদ সম্বন্ধবাচক বহুবচন, ইত বহুবচন কিন্তু সম্বন্ধবাচক নহে । পরন্তু সম্বন্ধ ও বহুবচনের মধ্যে নৈকট্য আছে। একের সহিত সম্বন্ধীয়গণই বহু । বাংলায় রামের শব্দ সম্বন্ধস্থচক, “রামেরা” বহুবচনস্বচক ; রামেরা বলিতে রামের গণ, অর্থাৎ রাম সম্বন্ধীয়গণ বুঝায়। নরা গজা প্রভৃতি শব্দে প্রাচীন বাংলায় বহুবচনে আকার প্রয়োগ দেখা যায়, রামের শব্দকে সেইরূপ আকার যোগে বহুবচন করিয়া লণ্ডয়া হইয়াছে এইরূপ আমাদের বিশ্বাস । নেপালি ভাষায় ইহার পোষক প্রমাণ পাওয়া যায়। আমরা যে স্থলে দেবেরা বলি তাহার দেবহেরু বলে। হে এবং রু উভয়