পাতা:বাংলা শব্দতত্ত্ব - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর -দ্বিতীয় সংস্করণ.pdf/১৪৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভাষার ইঙ্গিত S రి ఏ আ প্রত্যয়কে তাহার বন্ধু ওকারের শরণাপন্ন হইতে হয়। ধেমন কিলোকিলি, খুনোখুনি, দৌড়োদৌড়ি । ইহাতে প্রমাণ হয় ইকার ও উকারের পরে আকার অতিষ্ঠ হইয়া উঠে। অন্যত্র তাহার দৃষ্টাস্ত আছে—যথা যেখানে লিখিত ভাষায় লিখি—“মিলাই, মিশাই, বিলাই”, সেখানে কথিত ভাষায় উচ্চারণ করি, “মিলোই, মিশোই, বিলোই”—“ডিবা”কে বলি ডিবে, “চিনাবাসন”কে বলি “চিনে বাসন” “ডুবাই“লুকাই” “জুড়াই”কে বলি "ডুবোই” “লুকোই” জুড়োই”, “কুলা”কে বলি “কুলে,” ধূলা”কে বলি ধূলো ইত্যাদি । অতএব এখানে নিয়মের যে ব্যতিক্রম দেখা যায় তাহা উচ্চারণ বিধিবশতঃ । যেখানে আদ্যক্ষরে অ্যাকার, একার বা ওকার অাছে সেখানে আবার আর একদিকে স্বরব্যত্যয় ঘটে—নিয়মমতে “ঠ্যালাঠ্যালি” না হইয়া ঠ্যালাঠেলি “টিপাটেপি” না হহয় “টেপাটপি” এবং “কোণাকোণি” না হইয়া “কোণাকুণি” হয়। কিন্তু “শেষাশেষি” “দ্বেষাদ্বেষি” “রেষারেষি” “মেশামেশি” প্রভৃতি শ-ওয়ালা কথায় একারের কোনও বৈলক্ষণ্য ঘটে না। বাংলা উচ্চারণ বিধির এই সকল রহস্য আলোচনার বিষয় । আমরা শেষোক্ত তালিকাটিকে বাংলার ইঙ্গিত বাক্যের মধ্যে ভূক্ত করিলাম কেন তাহা বলা আবশ্বক।–“কানাকানি করিতেছে” বা “বলাবলি করিতেছে” বলিলে যে সকল কথা উহ্য থাকে তাহা কেবল কথার ভঙ্গীতে ব্যক্ত হইতেছে। ‘পরম্পর পরম্পরের কানে কথা বলিতেছে” বলিলে প্রকৃত ব্যাপারটাকে অর্থবিশিষ্ট কথায়