পাতা:বাংলা শব্দতত্ত্ব - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর -দ্বিতীয় সংস্করণ.pdf/১৬০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

>&や শৰদতত্ত্ব , , কিন্তু “আছে” ক্রিয়ার স্থলে কর্তৃপদে একার বসে না, এ নিয়মের ব্যতিক্রম এখনও ভাবিয়। পাই নাই । আসা এবং যাওয়া ক্রিয়াটি যদিও সাধারণত সচেষ্টক, তবু তাহাদের সম্বন্ধে পূৰ্ব্বোক্ত নিয়মটি ভালোরূপ খাটে না। আমরা বলি "সাপে কামড়ায়” বা “কুকুরে আঁচড়ায়” কিন্তু “সাপে আসে” বা “কুকুরে যায়” বলি না। অথচ "যাতায়াত করা” ক্রিয়ার অর্থ য়দিচ যাওয়া আসা করা, সেখানে এ নিয়মের ব্যতিক্রম নাই।-- আমরা বলি “এ পথ দিয়ে মামুষে যাতায়াত করে, বা যাওয়া আসা করে” বা "আনাগোনা করে।” কারণ, “করে” ক্রিয়াযোগে আসাযাওয়াটা নিশ্চিত ভাবেই সচেষ্টক হইয়াছে। “খেতে যায়” বা “খেতে আসে” প্রভৃতি সংযুক্ত ক্রিয়াপদেও এ নিয়ম অব্যাহত থাকে—যেমন, “এই পথ দিয়ে বাঘে জল খেতে যায় ।” “সকল” ও “সব” শব্দ সচেষ্টক অচেষ্টক উভয় শ্রেণীর ক্রিয়া সহযোগেই তিৰ্য্যকৃরূপ লাভ করে। যথা, এ ঘরে সকলেই আছেন বা সবাই আছে। ইহার কারণ এই যে, “সকল” ও “সব” শব্দ দুটি বিশেষণ পদ। ইহারা তিৰ্য্যকৃরূপ ধারণ করিলে তবেই বিশেষ্যপদ হয় । “সকল” ও “সব” শব্দটি হয় বিশেষণ, নয় জন্য শব্দের যোগে বহুবচনের চিহ্ন—কিন্তু “সকলে” বা “সবে” বিশেষ্য । কথিত রাংলায় “সব” শব্দটি বিশেষ্যরূপ গ্রহণকালে দ্বিগুণ ভাবে তিৰ্য্যকৃরূপ প্রাপ্ত হয়—প্রথমত "সব” হইতে হয় “সবা” তাহার পরে