পাতা:বাংলা শব্দতত্ত্ব - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর -দ্বিতীয় সংস্করণ.pdf/১৮১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বাংলা বহুবচন እ8ግ হইবে সেই লোকসমাগম প্রতিকর নহে। ইহা সম্ভবত গোটাচার শব্দ হইতে উদ্ভূত। ংখ্যাবাচক বিশেষ্য পূৰ্ব্বে যুক্ত হইলে বিশেষ্যপদ বহুবচনক্কপ গ্রহণ করে না। যেমন, চার দিন, তিন জন, দুটো ज्रोो । গণ, দল, সমূহ, বৃন্দ, বর্গ, কুল, চয়, মালা, শ্রেণী, পংক্তি প্রভৃতি শব্দযোগে বিশেষ্যপদ বহুত্ব অর্থ গ্রহণ করে । কিন্তু ইহা সংস্কৃত রীতি । এইজন্য অধিকৃত সংস্কৃত শব্দ ছাড়া অন্যত্র ইহার ব্যবহার নাই । বস্তুত ইহাদিগকে বহুবচনের চিহ্ন বলাই চলে না। কারণ ইহাদের সম্বন্ধেও বহুবচনের প্রয়োগ হইতে পারে—ষেমন সৈন্যগণেরা, পদাতিকদলেরা, ইত্যাদি । ইহারা সমষ্টিবোধক। ইহাদের মধ্যে “গণ” শব্দ প্রাকৃত বাংলার অন্তর্গত হইয়াছে। এইজন্য “পদাতিকগণ” এবং “পাইকগণ” দুই বলা চলে। কিন্তু “লাঠিয়ালবৃন্দ” “কলুকুল” বা “আটচালাচয়” বলা চলে না। গণ, মালা, শ্রেণী ও পংক্তি শব্দ সৰ্ব্বত্র ব্যবহৃত হইতে পারে না । গণ ও দল কেবল প্রাণীবাচক শব্দের সহিতই চলে। কখনো কখনো রূপকভাবে মেঘদল তরঙ্গদল বৃক্ষদল প্রভৃতি শব্দের ব্যবহার দেখা যায়। মালা, শ্রেণী ও পংক্তি শব্দের অর্থ অনুসারেই তাহার ব্যবহার, একথা বলা বাহুল্য । প্রাকৃত বাংলায় এইরূপ অর্থবোধক শব্দ ঝাক, গোচ্ছা, আঁটি, গ্রাস । কিন্তু এগুলি, সমাসরূপে শব্দের সহিত সংযুক্ত হয় না । আমরা বলি পার্থীর বাক, চাবির গোচ্ছা, ধানের আঁটি, ভাতের