পাতা:বাংলা শব্দতত্ত্ব - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর -দ্বিতীয় সংস্করণ.pdf/১৮৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

N ( R শবদতত্ত্ব ভারতবর্ষ বা ভারত, সংস্কৃত ভাষায় কখনই স্ত্রী শ্রেণীয় শব্দ হইতে পারে না কিন্তু আধুনিক বঙ্গ সাহিত্যে তাহাকে ভারতমাতা বলিয়া অভিহিত করা হয়। বঙ্গও সেইরূপ বঙ্গমাতা । দেশকে মাতৃভাবে চিন্তা করাই প্রচলিত হওয়াতে দেশের নামকে সংস্কৃত ব্যাকরণ অনুসারে মানা হয় না । কতকগুলি সংস্কৃত শব্দ বাংলায় স্ত্রী প্রত্যয় গ্রহণ কালে সংস্কৃত নিয়ম রক্ষা করে না । যেমন, সিংহিনী (সিংহী), গৃধিনী ( গৃঞ্জী, গৃধ্রু শব্দ সচরাচর ব্যবহৃত হয় না ), অধীনী ( অধীন, ) হংসিনী ( হংসী ), স্ককেশিনী ( মুকেশী ) মাতঙ্গিনী (মাতঙ্গী ), কুরঙ্গিনী ( কুরঙ্গী ), বিহঙ্গিনী ( বিহঙ্গী ), ভূজঙ্গনী ( ভুজঙ্গী ), হেমাঙ্গিনী ( হেমাঙ্গী ) । বিশেষণ শব্দ বাংলায় স্ত্রী প্রত্যয় প্রাপ্ত হয় না কিন্তু বিশেষণ, পদ বিশেষ্য অর্থ গ্রহণ করিলে এ নিয়ম সৰ্ব্বত্র থাটে না । খেদী, নেকী । ইয়া প্রত্যয়াস্ত শব্দ স্ত্রীলিঙ্গে ইয়া প্রত্যয় ত্যাগ করিয়| ই প্রত্যয় গ্রহণ করে । ঘরভাঙানিয়া ( ভাঙানে ) ঘরভাঙানী, মনমাতানিয়া মনমাতানী, পাড়ার্কুদুলিয়া পাড়াকুদুলি, কীৰ্ত্তনীয়া কীৰ্ত্তনী । হিন্দিতে ক্ষুদ্রতা ও সৌকুমাৰ্য্যবোধক ই প্রত্যয়যুক্ত শব্দ স্ত্রীলিঙ্গ বলিয়া গণ্য হয়—পুং গাড়া স্ত্রীং গাড়ি, পুং রসস, স্ত্রীং রসসী। বাংলায় বৃহত্ত্ব অর্থে আ ও ক্ষুদ্রত্ব অর্থে ই প্রত্যয় প্রয়োগ)