পাতা:বাংলা শব্দতত্ত্ব - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর -দ্বিতীয় সংস্করণ.pdf/১৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

|Ao ছাড় এক প। চলিবার জে নেই সেখানে সাধারণের পক্ষে পদে পদে অগ্রসর হওয়ার চেয়ে পদে পদে পতনের সম্ভাবনাই বেশি । পথটাই যেখানে দুর্গম সেখানে হয় মানুষের চলিবার তাগিদ থাকে না, নয় চলিতে হইলে পথ অপথ দুটোকেই স্থবিধা অনুসারে আশ্রয় করিতে হয় । ঘাটে মাল নামাইতে হইলে যে দেশে মাণ্ডলের দায়ে দেউলে হওয়ার কথা সে দেশে আঘাটায় মাল নামানের অকুকুলে নিশ্চয়ই স্বয়ং বোপদেব চোখ টিপিয়া ইসার করিয়া দিতেন । কিন্তু বাশের চেয়ে কঞ্চি দড় ; বোপদেবের চেলারা যেখানে ঘাটী আগ লাইয়া বসিয়া আছেন সেখানে বাংলা ভাষায় বাংলা-সাহিত্যের ব্যাবস। চালানো দুঃসাধ্য হইল । জাপানীদের ঠিক এই বিপদ । চীনা ভাষার শাসন জাপানি ভাষার উপর অত্যন্ত প্রবল । তার প্রধান কারণ প্রাকৃত জাপানি প্রাকৃত বাংলার মতো ; নূতন প্রয়োজনের ফরমাস জোগাইবার শক্তি তার নাই । সে শক্তি প্রাচীন চীনা ভাষার আছে । এই চীনা ভাষাকে কাধে লইয়া জাপানি ভাষাকে চলিতে হয় । কাউণ্ট ওকুমা আমার কাছে আক্ষেপ করিয়া বলিতেছিলেন যে, এই বিষম পালোয়ানীর দায়ে জাপানি-সাহিত্যের বড়োই ক্ষতি করিতেছে। কারণ এ কথা বোঝা কঠিন নয় যে, যে-ভাষায় ভাবপ্রকাশ করাটাই একটা কুস্তিগিরি সেখানে ভাবটাকেই খাটে। হইয়া থাকিতে হয় । যেখানে মাটি কড়া, সেখানে ফসলের দুদিন । যেখানে শক্তির মিতব্যয়িতা, অসম্ভব শক্তির সদ্ব্যয়ও