পাতা:বাংলা শব্দতত্ত্ব - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর -দ্বিতীয় সংস্করণ.pdf/২১৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Sb-8 भकङरु “উদঘাটিল’ বলতে কোনো কবি আজ প্রমাদ গণে না । কিন্তু, গষ্ঠটা যেহেতু চলতি কথার বাহন ওর ডিমক্রাটিক বেড়া অল্প । একটু ফাক করাও কঠিন । “ত্রাস” শব্দটাকে “ত্রাসিল” ক্রিয়ার রূপ দিতে কোনো কবির দ্বিধা নেই কিন্তু ‘ভয়’ শব্দটাকে "ভক্সিল” । করতে ভয় পায় না এমন কবি আজও দেখি নি । তার কারণ, ত্ৰাস শব্দটা চলতি ভাষার সামগ্রী নয়, এই জন্তে ওর সম্বন্ধে কিঞ্চিৎ অসামাজিকতা ডিমক্রাসিও খাতির করে । কিন্তু "ভয়” কথাটা সংস্কৃত হোলেও প্রাকৃত বাংলা ওকে দখল ক’রে বসেছে । এই জন্তে ভয় সম্বন্ধে যে প্রত্যয়টার ব্যবহার বাংলায় নেই তার দরজা বন্ধ। কোন এক সময়ে “জিতিল” “স্থাকিল” “বাকিল” শব্দ চলে গেছে, “ভয়িল” চলেনি— এ ছাড়া আর কোনো কৈফিয়ং নেই । বাংলা ভাষা একান্ত আচারনিষ্ঠ । সংস্কৃত ব ইংরেজি ভাষায় প্রত্যয়গুলিতে নিয়মই প্রধান, ব্যতিক্রম অল্প । বাংলা ভাষার প্রত্যয়ে আচারই প্রধান, নিয়ম ক্ষীণ । ইংরেজিতে “ঘামছি” zatov am perspiring x'ta qif, “fnofs” qa!v am, penning বলা দোষের হয় না। বাংলায় ঘামছি বললে লোকে কৰ্ণপাত করে কিন্তু কলমাচ্চি বললে সইতে পারে না। প্রত্যয়ের দোহাই পাড়লে আচারের দোহাই পাড়বে। এই কারণেই নূতন ক্রিয়াপদ বাংলায় বানানো দুঃসাধ্য, ইংরেজিতে সহজ । ঐ ভাষায়, টেলিফোন কথাটার নূতন আমদানি, তবু হাতে হাতে ওটাকে ক্রিয়াপদে ফলিয়ে তুলতে কোনে মুস্কিল ঘটে নি। ডানপিটে