পাতা:বাংলা শব্দতত্ত্ব - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর -দ্বিতীয় সংস্করণ.pdf/২২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

υη ο তাড়া দিয়া অস্থির করিয়৷ দেয় কিন্তু এই শাসনট ফুলের কীৰ্ত্তন পালার প্রথম খোলের চাটি । পুথির বাংলার যে অংশটা লইয়। বিশেষভাবে তর্ক প্রবল, তাহা ক্রিয়ার রূপ। "হইবে”র জায়গায় “হবে”, “হইতেছে”র জায়গায় “হচ্চে” ব্যবহার করিলে অনেকের মতে ভাষার শুচিতা নষ্ট হয়। চীনার। যখন টিকি কাটে নাই তখন টিকির খৰ্ব্বতাকে তারা মানের খৰ্ব্বতা বলিয়া মনে করিত। আজ যেই তাদের সকলের টিকি কাটা পড়িল অমনি তার হাফ ছাড়িয়া বলিতেছে,— আপদ গেছে । এক সময়ে ছাপার বহিতে “হয়েন” লেখা চলিত, এখন “হন” লিখিলে কেহ বিচলিত হন না। “হইবা” “করিবা”র আকার গেল, “হইবেক” “করিবেক”-এর ক খসিল, “করহ” “চলহ”র হ কোথায় ? এখন “নহে"র জায়গায় “নয়” লিখিলে বড়ো কেহ লক্ষ্যই করে না। এখন যেমন, আমরা “কেহ” লিখি, তেমনি এক সময়ে ছাপার বইয়েও "তিনি”র বদলে “তেঁহ” লিখিত । এক সময়ে “আমারদিগের” শব্দটা শুদ্ধ বলিয়া গণ্য ছিল, এখন “আমাদের” লিখিতে কারো হাত কঁপে না । আগে যেখানে লিখিতাম “সেহ” এখন সেখানে লিখি “সেও”, অথচ পণ্ডিতের ভয়ে “কেহ”কে “কেও” অথবা "কেউ” লিখিতে পারি না। ভবিষ্যৎবাচক “করিহ” শব্দটাকে “করিয়ো” লিখিতে সঙ্কোচ করি না, কিন্তু তার বেশি আর একটু অগ্রসর হইতে সাহস झग्न नl | এই তে আমরা পণ্ডিতের ভয়ে সতর্ক হইয়া চলি কিন্তু পণ্ডিত