পাতা:বাংলা শব্দতত্ত্ব - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর -দ্বিতীয় সংস্করণ.pdf/৫৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

е শব্দতত্ত্ব ‘এ’ স্বর বিরুত হইয়াছে । আর একটা ব্যতিক্রম লেজ (লাঙ্গুল ) । ‘তেজ’ শব্দের একার বিশুদ্ধ, ‘লেজ’ শব্দের একার বিকৃত । বাংলায় দুই শ্রেণীর শব্দ-দ্বিগুণীকরণ প্রথা প্রচলিত আছে। ১। বিশেষণ ও অসমাপিকা ক্রিয়াপদ । যথা, বড়ো-বড়ো, ছোটো-ছোটো, বাক-বাকা, নেচে-নেচে, গেয়ে-গেয়ে, হেসে-হেসে, ইত্যাদি । ২ । শব্দানুকরণমূলক বর্ণনাসূচক ক্রিয়ার বিশেষণ। যথা প্যাট্রপ্যাট, টাটা, খিটুথি ইত্যাদি । 飄 এই দ্বিতীয় শ্রেণীর দ্বিগুণীকরণের স্থলে পাঠক কুত্রাপিও আদ্যক্ষরে একার সংযোগ দেখিতে পাইবেন না । গাগা, গোগে৷ চীচী, চ্যাচা, টুক্‌টুক্‌ পাইবেন, কিন্তু গেগে চেচে কোথাও নাই। কেবল নিতান্ত যেখানে শব্দের অবিকল অনুকরণ সেইখানেই দৈবাৎ একারের সংস্রব পাওয়া যায়, যথা ঘেউঘেউ । এইরূপ স্থলে অ্যাকারের প্রাদুর্ভাবটাই কিছু বেশি - যথা, ফ্যাস্ফ্যাস, খ্যাক্খ্যাক, স্যাৎসাৎ, ম্যাড়ম্যাড় । এই শব্দগুলিকে বিশেষণে পরিণত করিলে দ্বিতীয়াদ্ধের প্রথমে অ্যাকারের পরিবৰ্ত্তে একার সংযুক্ত হয় ; যথা, স্যাৎসে তে, ম্যাডমেড়ে । তাহার কারণ পূর্বেই আভাস দিয়াছি। স্যাৎসেতিয়া হইতে স্যাৎসে তে হইয়াছে। বলা হইয়াছে ই কারের পূৰ্ব্বে এ উচ্চারণ বলবান থাকে । ক্রিয়াপদজাত বিশেষ্য শব্দের একারের উচ্চারণসম্বন্ধে একটি বিশেষ নিয়ম সন্ধান করা আবশ্বক। দৃষ্টান্তস্বরূপে দেখো খেলা’